চলে যাবার শেষ মূহুর্তে তোমার সৃষ্টির মাটিতে
দিয়ে যাবো দু 'ফোটা অশ্রুজল হে করুণাময়ী!
নিজেকে বিস্মৃত হবার আগে তোমার ক্লান্তি বাঁচিয়ে রেখো
কিছু প্রশ্নবোধক, জীবন কি?পাপ কি?পূণ্য কি?
একদিন বলেছিলে আত্মোন্মোচন!আত্মবিস্মৃতি আর-
আত্মোপলব্ধি! যে মূহুর্তে আমি এর বিপরীত হয়েছি-
পেয়েছি চরম সাজা, সে তোমারই কঠোর অনুশাসণ।
একত্রিত হবার পর,মিলনের পর, আনন্দের পর
পড়ে থাকা স্তিমিত দেহে তুমি দিয়ে যাও শ্বাস-
আমায় দেখিয়ে যাও প্রতিটি বিশ্বাসের খুঁটিনাটি-
প্রতিটি অ-বিশ্বাসের, কুরুক্ষেত্র থেকে সম্পর্কের পিছটান্---
এক একটি অধ্যায় আর আমার অবিশ্বাস্য চেতনা,
শেষে তুমিই মিলিয়ে দাও চিদে ও সত্ত্বায়।
হে জগদীশ্বর!আমাকে সম্পূর্ণ বোঝার আগে
আমারই অনন্ত স্পৃহাগুলো ছুঁয়ে দিও অমরত্বে,
উঠে দাঁড়াবো পুনরায় উদ্যম নিয়ে
চিনে নেব যতগুলো পরাজয় ছিল, যতগুলো হা'হুতাশ ছিল,
অতৃপ্তি আর অমনোযোগের ব্যর্থতা--!!
আত্মবিস্মৃতির প্রাক্ মূহুর্তে মেলে দিও পাপ-পূণ্যের খাতাটা-
আমি তোমার প্রতি মার্গের পথ ধরে
দিয়ে যাবো এন্ট্রির সহযোগ,
যেদিন তোমার সৃষ্টির মাটি আমার শয্যাগৃহ হল
জল,বায়ু,আলো তোমার মমতা ছেয়েছিল সমারোহে
সে তুমি,তোমার করুণা ,তুমি সেই প্রাণময়!
আমি সৃষ্টি, সৃষ্ট যে তুমি ,তোমার আমার মিলন-
চির অনিবার্য্য, চিরকাংখিত, মননে, বিস্মৃতে বারংবার
লোভ,ক্রোধ,মোহ হয়ে পৃথিবীর ভূমাতলে।
নিঃস্ব,অকিঞ্চণ এ মিলন!আর এক জঠরবার্তায়-
পূর্ণরুপ সন্ধির সৃষ্টি ও সৃষ্টে-
নবজাতকের বরণশঙ্খ আর উত্পাটনের যন্ত্রণায়
এই সৃষ্টির মাটিতে থেকে যাবো চিরকাল পদচ্ছাপ
আর দু ' ফোটা অশ্রুজলে!