যারা কুশ পুড়িয়েছিল আর-
সমবেত শ্লোগান তুলেছিল-" আমরা করবো জয়"-
আর আমাদের শেষ করার চক্রান্তে বিভোর-
আমি বেশ বুঝতে পারছি
আমাদের প্রতিষ্ঠিত হবার দাবীটা
মাথা তুলে দাঁড়ানোর দাবীটা
হয়নি মঞ্জুর কারণ আমি জানিনা
আমাদের জয়দ্ধনীর প্রতীক কি ছিল ?
কোন্ অস্ত্র ঠেকিয়ে মাঝরাতে বাবার
লুটিয়ে পড়েছিল প্রাণহীন দেহ,
জানা হয়নি তা-ও----?


আর আনোয়ার যখন চেঁচিয়ে বলত
অনাথ,তোরা অনাথ, কাফের, পিতৃপুরুষ গদ্দার-
লেলিহান প্রতিশোধ স্পৃহায় সদ্য গজানো পৌরুষ
প্রতিষ্ঠার স্তূপে একরাশ ছাই ঢেলে-
ক্রোধে ফুলে উঠত আমার টগবগে শরীরটা।  
আর যারা ওই কুশ পুড়িয়ে খুব বিদ্রোহ করছে
আমারই স্বদেশী, সে এক জমি দখলের কেচ্ছা।
অথচ বহুদিন এক দীর্ঘকায় ঢ্যাঙা লোক
আমাদের দেখতে আসত আশ্রম বসতিতে,
শুনেছি সে-ও নাকি এক প্রতীক গোষ্ঠী ছিল
আর আমার অনেক মায়ের মধ্যে এক মহিলা-
প্রচুর টাকা ঋণ ছিল আমার ধর্ষক বাপের কাছে,
স্বদেশী দাঙ্গায় ভোগদখলের ইতিকথা।  
যখন জল বাতাসে খবর বয়ে যেত আমার অকিঞ্চণের পর্ব
উঠে দাঁড়ালাম সেইদিন একশত বোমা আর বারুদ
আর আমাদের যুদ্ধ জয়ের আকাংঙ্খা,
চেয়েছিলাম ফাঁসি ধর্ষকদের
ধ্বংস মিলিত চক্রান্তের
মৃত্যু রাজাকার গোষ্ঠীর,
আমাদের অনাথ করার প্রকৃত দোষীদের...।


সেই হরিলুটের মতো টাকা ছড়ানো হারামজাদারা-
জেনেছিলাম এক মায়ের নাড়ি সম্পর্কের...।
কয়েক গন্ডা মেয়েমানুষ আর কয়েককোটির মালিক,
সেই অধ্যায়ের পরম্পরা ,আমার মা-ও ছিল।


ওদের কুশ পোড়ানো উল্লাস-
আমাদের ঘিরে , বস্তির এক মাস্তান চুপে বলেছিল-
আমারই বাপের কোনো জারজ পক্ষ , ধর্মান্তকরণের বীজফল,
আমাদেরই কলোনীর এম এল এ।