কিছু নড়বরে যাঁতাকল আর পান্ডুর দৃষ্টি নিয়ে
তুই কি ভেবেছিস সাম্যের হাত ধরা যাবে ?
পাল্টানো যাবে দুহাতের মাঝের ফাটলটা ?
বলে দেওয়া যাবে,আবার ফলাবো একটা শ্রাবণ ?
কি ভাবে ফলাবি একত্রে গড়া পোক্ত বনিয়াদ ?
পেছনের সারি থেকে উঠে গেল যারা
সদ্য বুঝেছিল নারী সংগ্রাম,আর স্বাধীনতা শ্লোক-
রাত ডেকে নিয়ে গেছে যোদ্ধার সাজে
সেই শ্রেণী সৈনিক রক্ত স্বাক্ষর দিয়ে-
নিয়ে গেছে ঢাল,তলোয়ার যুদ্ধের বেশে
সমুখে সাজানো রঙীণ পানীয় আর উত্সর্গীত হৃতপিন্ড
হাতের কব্জি তখন রমণোন্মুখ সজোর আঘাত
ক্ষত বিক্ষত বিদ্যুত্স্পৃহ হয়ে শুয়ে আছে নির্জীব ঘরে।
জানিস না তুই,সেই শ্লোগান তখন মিশে গেছে
পেষণ আহ্লাদে,আর যুদ্ধাহত ক্লান্ত সৈনিক-
অট্টহাস্যে ব্যঙ্গ করেছে তোকে বারংবার,
যতবার তুই বলেছিলি নারী সংগ্রাম---।
যারা করেছে স্বাক্ষর দু হাঁটুর ফাঁকে অপচয় স্পৃহা
মাঝা ভাঙা আহত সৈনিক পরাজয় বুঝে--
ফিরিয়েছে তোর উত্সাহ,কিন্তু সে তো মুষ্টিমেয়-
ধরবি কি ভাবে বল সংহতি হাত নারী সংজ্ঞার??