বেশ,যদি মেনেই নিই লিঙ্গান্তরে
     তোমার আমার অবস্থার প্রভেদটা নির্ভুল--
  
সোনার আংটিটা খোল দেখি,পরালো কে ?
যদি আমি হীরে পরি মানুষে গ্রহণ লাগে কি?
সৌন্দর্য্য ছাড়া অন্য কোন প্রভেদ আদৌ থাকে?
জলকে জীবন জানার আগে,বাতাসে ঘূর্ণন জাগার আগে,
  
প্রদক্ষিণ আবিষ্কার স্বীকৃতি পেল জ্ঞাণচক্ষু উর্ম্মীলণের পর-
গ্রহণের রাক্ষস তখন আড়াল করে নিত,
          
গ্রহ-উপগ্রহের ঔজ্জল্ল্য আদিম হিংস্রতায়।
যখন আদিম গুহায় আমাদের বসতির কোন ইজারা ছিল না
   ছিল না দখলদারের চোখ রাঙাণি,তখন তুমি আমায়
মানুষ বলতে,সেই পাথরের আদিস্তর থেকে আমদের-
           একত্রের সহবাস,খাদ্যও সেই প্রস্তরভেদ।
প্রবল ঘর্ষণে যেদিন জ্বললো আগুন প্রথম রন্ধণ
       আক্ষরিক অভিধান ছাড়াই আমাদের বসবাসে-


কোনো দৈবিক নিষেধাজ্ঞা ছিল না,
তখন তো বিরোধ ছিল না
ছিল না অপলাপ,তখন কিন্তু-
ছিল না বৈষম্যকরণ-একটাই ছাদ
আর মুক্ত প্রকৃতি ছিল আমাদের পরিধি।
যদি আজ পাথর আড়াল হয়ে বৈদিক বোধ-
বয়ে আসা আমি তুমি,আমাদের ঐহিক ইমারত
আর জেগেওঠা যুগ বেয়ে কয়েক অক্ষরে
লিখে দাও অবস্থাণ বিপরীত


লিঙ্গ বৈষম্য আর সাম্যহীন প্রকৃত প্রতীতি
সোনার আংটি হাতে, মুছে ফেলে মানুষনামা
লিখে দাও শতনামে নারী,নারী,নারী,নারী---
  পুরুষ প্রভেদ নামাবলী-
হৃদয় প্রতিষ্ঠা কালে কেন গলগ্রহ হলে বৈষম্য উত্তরীয়ে?
   সে কি আদিম উত্তরণ না কি শুদ্ধ সংস্কারী ফল?