তুমি এখন নিভৃত চরাচরের উর্দ্ধে
      বিদেহী সত্ত্বার নিশ্চিত স্বাধীন পরমাত্মা
 জ্বরা,তাপ,শোক,বাধাহীন সীমা ছাড়িয়ে আরও দূরে
ছিড়ে গ্রন্থির বন্ধণ মুক্তি নিয়েছো সীমাহীন ভূমে
  বুঝি জেনেছিলে বন্ধু খিড়কী থেকে সিংহদুয়ার
এই ব্যাস পার হওয়া গতি
কত বন্ধণ দুরুহ বিঘ্ন শাষণ বারণ রুদ্ধতা
তবুও ফুটেছো নিভৃত দুয়ারের কোনে
গন্ধে,বর্ণে মহীয়ান মুগ্ধতা ছেয়ে,এসেছিলো ঋদ্ধ প্রভাত
চেয়েছিল চোখ মেলে ক্ষণ উদ্ভাস
যারা এসেছিল নবারুণ দেশ থেকে
বলে গেছে তোমার মহিমা
ছুঁয়ে সেই শব্দ কথিকা
রেখেছে সম্ভাব্য প্রগলভ্।
তোমার ডালি ভরা সৌরভ কত বাসা গেঁথে আছে পৃষ্ঠায়
রয়েছি আমরাও
  বুঝি বলেছিলে কবিরা বিজয়ী হবার নয়
জেনেছিলে শৃঙ্গেরা ফাঁকি দেয় স্বপ্ন ভরসায়
   অধরাই রয়ে যায় সমারোহে জ্বালবার দ্বীপ
থাকে না শঙ্খে,ধূপে,বরণমালা কোন আয়োজন।
 নীরবে সে আসে থাকে অচেনায়।
তাই অভিমানে গেলে চলে, দিয়ে গেলে-
   রাগ,শোক,অভিমান,প্রেমে ভরা গুচ্ছ দলিল,
অবহেলে থেমে গেল,বাতাসের মগ্নতা,দিনের সুবাস-
  আলোর বদান্যতা থেমে ছিল উদাসীন
 যে যার আপন কাজে খোঁজে নি তোমায় তাই-
একরাশ অভিযোগ নিয়ে গেল প্রযত্নে তব-
  চলে গেলে পিছু,অজস্র স্বাধীনচেতার
বিদেহী স্বত্ত্বা বিলীণ হলে পেয়ে যাবে
   প্রভুত্ব অপার,না বলেই গেলে বন্ধু তাই।


আসরের সম্ভাবনাময় প্রিয় বন্ধু কবি দেবাশিসের অকাল প্রয়াণে আমরা সকলেই বাকরুদ্ধ ও শোকস্তদ্ধ,তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় আমার আজকের ক্ষুদ্র নিবেদন