আসলে আকাশ জোড়া চাঁদ তখনও-
প্রাসঙ্গিক উচ্চতার কম বেশী প্রহসনে
আমার দিব্যলোকের সিঁড়িটায় বিষাদ ছুঁয়েছে,
পৃথিবীর পারিজাত পাবার অক্ষমতায়
দিগ্ভ্রষ্ট আমি খুঁজে চলেছি -----
  
সমুখে আরাধ্য জোড়া দেবদেবী
রোশনাই,ঝলক আর সমূহ দেশের খ্যাতি
অসংখ্য ভক্তসমাগম বিপুল আড়ম্বর
সমুখে রাজভোগ,রাজৈশ্বর্য্য,লোভনীয় প্রাপ্তির
স্বর্গীয় বৈভব পূর্ণ চ্ছটায় স্বপ্নিল পরিবেশ--
দেশ দেশান্তরের আগত সমস্যার অভিজ্ঞাণ,
বিচিত্র অভিজ্ঞতা-----কেউ ধনপতি হবার,
অস্কার পাবার,কেউ সপ্তরথীর দুর্মূল্য আসনের ,
আবার কারুর নামের গুনকীর্ত্তণ-----
দেব অধিরত ভক্ত সমাবেশে কাছে ডাকেন একে একে
রূপমুগ্ধ হলে লাঘব হয় শর্ত সহযোগ
আসে যৌতুকের আদান-প্রদান
মিলে গেলে পূর্ণ তার দেবস্তুতি---
অতপর দেবী করেন তার প্রস্তুতি পর্ব
অর্থাৎ কোন্ পদটি তার প্রাপ্য তারই আয়োজন
একে একে সকলেই পরীক্ষা করান যোগ্যতা,
ভিজিট এবং পদ--------অতপর দেব মহিমা কীর্ত্তণ।
এ সকলই পৃথিবী উচ্চতা থেকে চাঁদের কাছাকাছি প্রায়----


আমার নাগাল না পাওয়া উচ্চতায় থেমে গেছে
যাবতীয় মোহের সিঁড়িটা
তন্ময় আমি যখন খুঁজছিলাম
পৃথিবীর অগনিত
যারাও নাগাল পায়নি
ছুটে এসেছিল জানতে,
কেন, কিভাবে সেটা আমায় স্বর্গচ্যুত করেছে
কিভাবে,কেন-----
তাদের জানিয়েছি আমি
হয়তো নাগাল পাইনি বলে----।