বসন্ত চলে গেলেও
একটি ফুল ফুটে রবে ঠিক্
    বসত আড়াল ঘেষে
সবার অলক্ষ্যে, তোমরা তাকে বুনো ফুল বোলো।
শৈশব স্মৃতিভারে একরাশ আঁধারের মাঝে
কোনোদিন চোখ পড়েনি তোমার
    সবটা মন বেয়ে
থই থই কাব্যের বনিয়াদগুলো
  গুটি গুটি পেশাদারী--
মগ্নতা পড়ে থাকা নিরন্তর সময়।
  এলো জল,বাতাসের ছাঁটে
     নিরেট পাথর ঘেষে--
    সে অস্তিত্ব রইল আড়াল
      বিশ্বাস,অ-বিশ্বাসে।  
তুমি শ্বাস নিতে পরিযায়ী বিদেশ ফেরত
সারি সারি রাঙাপা হৃদয়ের ভীড়---।
আমার বাগানে ঋতু ছিল, রামধনু আর
   কারুকার্যে শিল্প সময়।
তোমার নির্য্যাস নেব বলে
  অলক্ষ্যে বুলিয়েছি সাগরের মাটি
বিভুঁয়ের ধাঁচে স্বরলিপি সুর,
তোমার ছোঁওয়ায় রবো বলে---
অহেতুক ডানায় কাব্য প্রাঙ্গণ--
প্রবাসের বাসা ভেঙে তোমার চৌকাঠ
ভোর হল একদিন চৈত্রের দাহে
চোখে চোখ মিশে গেল অলক্ষ্যের ভুল
     কাঠুরের উদ্যত কোপে
   পাতায় পাতায় আছি ঢেকে-।
আসেনি আলোকপ্রভা, তোমার ইঙ্গিত
যেদিন যুবতী হলাম পাপড়ি প্রথম
মন ছুঁয়ে রেখে দিলে প্রথম কৈশোর
কত প্রহরের সাথে অপেক্ষা প্রবল
      নাজেহাল দস্যু চৈত্রের হানাদার
  কেড়ে নিল গাছের দখল,বেসামাল কুড়ি
কোপে ঘাঁয়ে ছাড়খার নেমে এল সংঘর্ষ প্রবল--
     দলাদলি,কানাঘুষো শেষে
নেমে এল ঘনঘটা, চ্ছটা নেই,দ্যুতি--
       মামুলি বর্ণহীন ফুল।
ড্রেনড্রাইট আলোয় ছেয়েছে তোমার বাগান
দিয়েছে মোহন সুর কথাদের যেমন সাজানো
      প্রতিক্ষণ বসন্তের রেণুরা ছড়িয়ে
বুনেছে শৈল্পিক তান সুরের আলয়।
    পড়েছে আলোক সাজ যতটা পড়েনি--
  দৃশ্যের ভুলে, যেদিন কৈশোরের ছোঁওয়া
  হঠাত্ই ঝড়ে ছিল সম্ভ্রমের নিবিষ্ট আদল---
    আড়ালের গাছ হয়ে উপেক্ষায়
     কতবার বসন্তের ভুলে
  কাঠুরের নিঃসীম রোষে
   পাতার আড়ালে গেছি রয়ে।