দিনরাত্রির নৌকা বাওয়া এই বালির চরে ঘর
একটানা জল মাঝির জীবন অভাবী সংসার।
অথৈ প্লাবন বুক জুরানো নোটিশ দিয়ে যায়
উঠলে তুফান ঘর হারানোর নিঃস্ব প্রবল ভয়।
কান্না হাসির ঢেউয়ের দোলায় দুলছে চালা ঘর
গর্ভে ওঠে প্রাণ আলোড়ণ ছা'পোষ যাযাবর।
দুলছে তরী মাঝ দরিয়ায় উঠছে প্রবল ঢেউ
ঝঞ্ঝা প্রবল ভাঙছে বেতাল ছিন্ন জীবন কেউ।
বুকের মাঝে অথৈ রোদন জলের দাপট রোষ
দাঁড়িয়ে ঠা'য় একটানা রোদ সবজে শাড়ীকলস।
উড়িয়ে ধোওয়া কলমী বধূ একলা প্রহর কাঁখে
বলছিলো গো সুরভ চালের হিলসা নবান খাবে।
গর্ব ছানা মুখিয়ে বেজায় বাপ পালোয়ান রবে
সব ছাড়িয়ে উড়ছে নিশান প্রভাত কখন হবে।
হেই ভগবান জীবন মরণ ছিঁড়ছে নাড়ীর টান
ভাঙছে কুটীর দীন মেছুয়ার শঙ্কে কাপে প্রাণ।
যাচ্ছে অতল হিংস্র প্রবল জলের ক্ষোভ আক্রোশ
ভাসছে ধূলায় কৃষ্টি কুটির চরের মাটি মানুষ।
কলমী আমার বাছার মায়ের ঊতলা হৃদয়
ঝঞ্ঝা ছেড়ে শেষ প্রহরের বিদায় লিখে দেয়।
এতই প্রমাদ রোষ যদি তোর অন্নদাতা জল
দীন মানুষের জীবন শুধু তোর ভোগ্ সম্বল ?