দুর্জ্ঞেয় প্রাচীর ঘেষে বখে যাওয়া ছেলেটা
     কোনকালে ধার করে খেয়েছিল ভাত
তারপর  চিরন্তন ঢেঁকুর তুলে বলেছিল-
         খিদে বলে কিছু নেই---।

তারপর মরক লাগা শহর জুড়ে
  দলে দলে দেশান্তর মানুষ--
হাতে চির বুভুক্ষার থালা
  ছেলেটা তখনও পরমান্নের সুখে--

সেদিন যখন সূর্যটা খানিক দক্ষিণ গোলার্ধ ঘেষে
  ও দেখেছিল বিবস্ত্র হিম ফুটের নাগ্মাকে
জ্ঞাণ ফেরার একটু আগে--
  তখনি ছেলেটা শিখেছে অনেকটা বখে যাওয়া--
নাগ্মাদের বাড়ীঘর ওর জলভাত হলো--
আর মাওবাদের গুপ্ত শিবিরে
         মরকের আবাসন।


নির্বিঘ্নের ভাত এল শহর বাঁচিয়ে
  আর দুর্জ্ঞেয় প্রাচীর ঘেষে সময়ের তান্ডব--
ক্রমে ভাঙণ ধরালো বুকে--
  আগুন জ্বালালো সুখে--
নিরন্তর বখে যাবার--
  ছিনিয়ে খাবার--
  শাণিত অস্ত্রের ব্যভিচার--
একদিন ঝা চকচক স্যান্ট্রো আর--
মুখে তার দুর্লভ খেঊরের বন্যা,
ছুটে গিয়ে অবকাশে---
  সেই তো ঐ বখে যাওয়া ছেলে-----।