মুছে ফিরি যত \ জীবনের ক্ষত \ চিত্ত ভাবনাহীন
নগরে শহরে \ লোকালয় ভীড়ে \ উন্মনা উদাসীন।
হেঁকে চলে যায়\ প্রহর আমার\ স্মৃতিময় বিভ্রম
যতই মেলাও\ নানা উপাদানে \ হিসেব নিরুদ্যম।


উপরে আকাশ\ নিচ ভূমিতল\ বাতাসে অন্তহীন
জেনেছি অধরা \শুধু দিশেহারা \প্রশ্নেরা ক্ষমাহীন।
নেমেছি অতল \তবু কোলাহল\ দগদগে যন্ত্রণা
দিয়েছে ফিরায়ে\ বেলাশেষে হায়\ অন্তিম চেতনা।


নিয়েছি যতটা\ দিয়ে পরিণাম \পরিশেষ সংবাদে
মিলেছি ভাটায়\ জোয়ার ধারার\ মরিচীকা সংঘাতে।
অাঁতরের ঘ্রাণ\ তবু অবিরাম\ প্রতি অধ্যায় সেজে
রয়েছি দাঁড়ায়ে \পাথর সরায়ে\ সমারোহ উচ্ছ্বাসে।


যদি উৎসবে\ ঝরণা ধারায় \ মোহন বাঁশরী ধারা
বরষা প্লাবন \ভাসায় অতল\ আমার হৃদয় হরা।
ডেকে নিয়ে যায়\ করুণাধারায় \রঙীণ উদ্দীপনা
এই প্রাণে আছে\ মুক্তা প্রবাল\ হৃদয়ের আল্পনা।


কোন ক্ষণে যেন\ জেগেছে হিঁয়ার \নিঝুম রাত্রিবাস
ভীড় করে কারা\ বলেছে আবার\ জ্বালো আলো আশ্বাস।
জড়ো করে তাই\ হৃদয় দুয়ার \রেখেছি প্রদোষকাল
সরিয়ে ক্ষতরা \সৌরভে ঢেকে\ এসেছে প্রাতঃকাল।  



আমার কবিতাটি '' ছন্দের মেলা" কবিতার বইয়ের জন্য প্রেরিত হল ।


সাধারণতঃ ছন্দের মিলে কবিতায় তিন প্রকার ছন্দের প্রয়োগ  আমরা লক্ষ্য করে থাকিঃ--- স্বরবৃত্ত, মাত্রাবিত্ত ও অক্ষরবৃত্ত।
উক্ত কবিতাটি "মাত্রাবৃত্ত" ছন্দের অর্থাৎ এই কবিতার মূল পর্ব ৪,৫,৬ ও ৭ মাত্রার হয়, আমার কবিতাটি মূলত ৬ ও ৭ মাত্রার।


প্রথম পর্ব - মু+ছে ফি+রি য+ত ‌= ৬ মাত্রা,
দ্বিতীয় পর্ব - জী+ব+নে+র ক্ষ+ত = ৬ মাত্রা,
তৃতীয় মাত্রা - চি+ত্ত ভা+ব+না+হী+ন = ৭ মাত্রা,


প্রতিটি পংক্তি চারটি স্তবকে বিন্যস্ত, ১০ পংক্তির কবিতাটি ৫টি স্তবকে গঠিত ও সুবিন্যস্ত। এক্ষেত্রে কবিতার মূল ভাবার্থ হল - জীবনের আশাহত ক্ষণে কিংবা হতাশায় সকল দুয়ার রুদ্ধ হলেও কোথাও থেকে যায় ক্ষীণ অাশার আলোক, আর চির অভ্যস্ত আমরা আবারো ছুটে চলি সেই বাড়ানো হাতের দিকে নতুনের প্রত্যাশায়।