দেখ ঝঝ্ঝরে দিন, থেমে গেছে নৈশ ব্যবধান--
বাঁশীওলা চলে গেছে মেহতাজ রেখে
ছিন্ন হয়নি হাত
আঙুলের গভীরতা নিয়ে
আজও অাছি জড়িয়ে পেঁচিয়ে--।
ঈশানের কোন যদি ঢেকেছিল অালো
ক্ষয়েছিল কিছুটা জীবন সেই পরিসর
অযথাই রোদের প্রখর
বুনে গেছে নিরর্থ প্রসাদ--।
আসেনি সে দিনরাত ছুঁয়ে থাকা মন
এলো হয়ে ছিল কত বিস্মৃতির দিন
ক্ষয়ে গেছে অবসাদ কিছুটা বিভ্রম
গোছানো হলনা কিছু অযথা অক্ষম।
সঙ্গে ছিল না তবু কোন তার ব্যর্থ অক্ষর
বিবর্ণ কাগজ বলো অথবা প্রত্যুত্তর।
বছর বছর ঘুরে প্রান্তের ঘরে
দেখ কত ছায়া সমারোহ , আঙুলের নিবিষ্ট বেষ্টনী
আমাদের রেখেছে সাজিয়ে তবু--
ফেলে রাখা তোমাদের নির্লিপ্ত বন্দরে।
বাঁশীর বিষণ্ণ রাগ মূর্চ্ছিত ধূসর রং রূপ
ছিল কি নেবার বলো?
বড় বেশী আর্ত তুমি নিজে
মাপা থেকে নিট আয়ুষ্কাল
খানিকটা প্রসারণ হলে
মানুষ মানুষে বলো কে কার দাবীদার ?
দেখি একদিন ফিঁকে সব দেবার নেবার--
ফাঁকি দিয়ে জটলা সমাজে
নামহীন ফাঁকা সে তালিকা--
মুছে গেছি আদান-প্রদান।
কিছুতো ছিলই এক পাল্টানো অধ্যায়
অকাতর ফিরে পাওয়া বৃত্ত,
প্রমাণ করার মত
সমাধির প্রাক্ বিপর্যয়
আঁকড়ে ধরেছি চিরন্তন সেই আঙুলের --
বিশ্বাসী হাত।