হে কৈবল্যদায়ি অপূর্ব সঙ্গমপ্রিয় নর
আমার বৈকুন্ঠ লীলায় তুমি স্বর্ণময় মণিপ্রভা..
তোমায় দেখামাত্র হৃদয়ে জাগ্রত লালসা-
                       উদগ্র বাসনায় নারীত্ব লালায়িত
স্বয়ং মহার্ঘ্যের আসন অলংকৃত মহিয়সী নিতান্ত কৃপণা,
মুষ্টিঅন্ন ভিক্ষা তোমার শ্বেতশুভ্র অঙ্গে
জমা রাখার সহস্র বাসনা অতৃপ্ত ইতিহাস
বর্বর যুদ্ধের প্রতি আক্রমণে বিপর্যয় স্থায়ী রয়ে আছে
স্বীকৃতির কাছে তাকে তুমি বরণ করেছো সাদরে...
  
হে অপার মহিমালব্ধ পুরুষ
তোমায় ক্ষণিক স্পর্শ করণে আমার কুঞ্জলতার অষ্টোত্তরো শতনাম
কোন্ নামে ডাকবো তোমায় ?
বলেছিলে প্রেম প্রমাণে উপহার দেবে আশ্চর্য্য দেবশিশু
আর গোরদানের অমায়িক লন্ঠন
যার আলোকে উদ্ভাষিত হবে কুঞ্জের পরবর্তী অবগুন্ঠন।

হে অপার্থিব জ্ঞাণলব্ধ জ্যোতির্ময় প্রণয় প্রভা
তোমার রুপচ্ছটা প্রভাবে যখন প্রলুব্ধ আমি
কামাতুর ঘরে টেনে নিচ্ছি একে একে তোমার সহবাস
কি প্রলুব্ধ তোমার নিরবচ্ছিন্ন সংকেত, আমাদের দেবশিশু
অকস্মাৎ আগমনে তৃপ্ত আশ্রমকুটির
কিন্তু প্রিয়, তোমার লন্ঠনে জুড়লে আলাদীনকে
আমি ভূ-লুন্ঠিত মৃতপ্রায় সন্ন্যাসে জীর্ণ ,
আর তোমার পৃথিবীজুড়ে নেমে এল আলাদীনের অপার বরদান
কত কত শৃঙ্গের নিবদ্ধশয়ন ,আমার কন্ঠস্থ প্রার্থণায় ছেদ পড়েছে
সৃষ্টিরত তুমি গেঁথে নিচ্ছ সোনার আপেল,ফল,মূল
      
হে যাজ্ঞবল্ক যজ্ঞাগ্নীসম্ভূত মহ
প্রখর ক্ষয়ে আমার অন্তসা:র নি:শেষপ্রায়
লুপ্ত হচ্ছে আমার জ্ঞাণ,গরিমা,প্রত্যঙ্গ, নারীত্ব, লিপ্সা,কামনা
কাছে এস প্রিয়
শেষবারের মত মুক্ত কর তোমার বহ্নিকরণ লালিত্য
জাগাও শিশ্মস্তুতি,আরো একবার তীব্র সান্নিধ্যে,
মদির জ্ঞাণসুধায় তৃপ্ত কর পিপাসিতের চরম আর্তি, প্রিয়।