যুদ্ধ চলেছে তবু
ভালোবাসা ছুঁয়ে মন
প্রকৃতির নিষ্কলুষ ভোর
ছড়িয়ে স্নিগ্ধতা আমি
পাঁজরে পাঁজর, গড়ি "বেঁচে থাকা"।
ঋতু প্রকৃতির হাতে হাত
সাজিয়ে মানুষ,লেগে যায় সুখের অসুখ
জিইয়ে আরাম
ফসলের কাঁনায় কাঁনায়
ঘনাই প্রতীতি।
আমাদের যৌথ সংগ্রামে
আমাদের কেনা বেঁচা মান্ আর-
বিক্রীত সংসারে সুখেদের চরম অসুখ ।
কার্তুজে ভবিষ্য মুছে কিছু
ধোঁওয়া ওঠা প্রাতঃরাশ
শৌখিন কমনীয় মুখে
যুদ্ধটা ক্ষয়ে যায় বিবর্তিত হয়ে
আমাদের অস্থির গেরস্থাণে।
মুখর হ্যালোজেন
কৃষ্টির বিছানায় পর পর নিঃশব্দ মানুষ।
ভোরে শিশির কণায়
পার্থিব ফুল , নর-নারীগুলো
আগোছাল্ জিভের ডগায়
ছক্ কষে নির্বাণের প্রাচীন দেবতা
দেহে দেহে পার্থিব ঘর।
বহু পথ মিলে শেষে
বোমারু হানায়, শূণ্যতার লাশঘরে
দালালের ভীড় সাক্ষ্যের চরম কাটাকুটি।
মৃত্যুর চোখ মেলি মর্গে আবার
তুমি আমি যৌথ উন্মুখ
ছুঁতে যাই সুদূর গাঙের চিল-মাছের ভাসান।
জন্ম নিই মাটি হাত বাড়িয়ে সীমানা
দুরুহ স্বপ্ন ঢেউ অগাধ স্রোতস্বী
মাঝ গাঙ স্রোতে দেহ বিনিয়োগ-
দেখি যুদ্ধে রয়েছি তবু অবিকল গোলাগুলি |
দু'চোখ দুকূল স্রোত অগাধ সাগর
ঝাঁঝরার বুক, পিঠ,দেহে রক্তধারা তুমি
শান্তি শয়ান, সায়োনেড,
পাশে তবু একফালি গৃহ
ধোঁওয়া ওঠা ভাত, কলদ্ধনী শিশুসহ
যৌথ কোলাজ।
চোখের সাগরে সপ্ত ডিঙার লাগাম জুড়েছি
ফের তুমি আমি যৌথ প্রয়াসে
বানাবো কফীন সংসার, মৃত সৈনিক।