সন্তানের লাশের ওপর মাতৃ-
সিংহাসন
কেয়ুরশোভিত রত্নময় স্বর্ণখচিত
চতুর্দিক দাসদাসী ব্যাস্ততা সাজ-সজ্জা লোকারণ্য ধুমধাম, ঢাক বাদ্যি, মত্ততা
স্বর্ণময় আলোকোজ্জল বরণডালা,
ধূপ-দীপে মা বসেছেন
রক্ততিলক বক্ষে তিনশত চোদ্দ' সন্তানের
টকটকে তাজা রুধির ধারাস্নাত হয়ে।
খচিত জ্বলন্ত অগ্নিপ্রভায়-
ডুবে আছেন মা
যুগ যুগান্তরের বাসনা চুয়ে পরছে মানবীর গায়ে
সেই চ্ছটা আলো-
চোখ,মুখে অপূর্ব কৈবল্যপ্রভা নাগপাশে আবদ্ধ
সেই স্বর্গীয় মাধুর্য্য,
সিংহাসন ঘিরে থাকা কয়েকশো'
কারুবন্ধণে সজ্জিত আসনে উপবিষ্টা
সকলের আরাধ্যা, বাসনা কামনার-
প্রতিমূর্তি ।
স্বয়ং লিপ্সা সিদ্ধে সন্তান জলাঞ্জলি
অতঃপর সেই রক্ত শুদ্ধিস্নানে-
বক্ষতিলক দান , দুঃসহ দ্যুতির বর্ণপ্রভায়
আলোকিত দেশ দেশান্তরের ভক্তবৃন্দ
কামের প্রতিভূ ।
কাঁসর,ঘন্টায় উদ্বেলিত মন্দিরপ্রাঙ্গণ
প্রত্যেকের প্রার্থণা কাম্ দাও,
লোভ রিপুর জয়, কোল্ নয়, এলো করো-
কামাগ্নি, নগর,সমাজ নয়, স্বজন আপন নয়,
স্নেহ বন্ধণ নয়, শুধু কামনার অভিসার ।
যুগ যুগ ধরে মানুষের হাহাকার ।
মায়ের অপূর্ব সঙ্গমলিপ্সা ধুয়ে দিক্ মোর
মোহ,কালিমা ঘুচায়ে।
(মার্জণা করবেন বন্ধুরা কাউকে অাঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়,
দঃ ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে এই মাতৃমূর্তি আজও দর্শনার্থীর চরম ভক্তির প্রতীক পুরাণে কথিত মা তার লালসা তৃপ্তির কারণে তিনশত চোদ্দ সন্তানকে নিজ হস্তে মৃত্যদন্ড (বলি) দেন ও টকটকে রক্ত স্রোতে স্নানপর্ব সেরে নিজ হস্তে রক্তের তিলক আঁকেন কপালে এবং তাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অংশগুলিকে বিশেষভাবে জুড়ে তৈরী করা হয়েছে অপূর্ব সিংহাসন। যা আজও দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণের বস্তু। )