তখন আমি প্রথম শাড়ী
         প্রথম পরিচয়, লুকিয়ে জমাট-
    নেশার ঘোরে আলাপ, সংশয়
      গলির মুখে আমার বাড়ীর ১৩নং এর বাঁকে
      লুকিয়ে প্রায়ই হর্ণ বাজিয়ে
           তোর গাড়ীটা হাঁ'কে ।


শাড়ীতে তোর পরশ লাগে
আঁচল জড়ায় গাঁ
সাঁঝের শিশির আলতো চোখে
ভেজায় আমার পা।
জড়ায় দু'পা গুল্ম লতায়
টুসকি টোলের গাল্
খুব করে তুই আদর করিস
এ'লো করিস চুল ।
  
তখন আমি ভাসছি কেবল
           তোর পারাবার ঘিরে
     দু'চোখ ঝিলিক , বেজায় হিরিক
          তোতে আমায় জুড়ে
          কোন্ বেলাতে জমল পারি
        স্বপ্ন পারের ঘর, বেশ জমেছে-
        প্রবল ঘোরের ভালোবাসার ঘর ।


ছোট্ট ডিঙা আধ ভাঙাচাল্
            তাপ্পি পালের ঢাল্
তারই মাঝে দুলত আমার
            ভাঙা ডিঙার হাল্
সুর জুড়িয়ে মিলত প্রসাদ
             চলছিল বেশ সুখ্
হঠাৎ আকাশ ছাপিয়ে গেল
             সিঁদুর রঙা মেঘ
বৈঠা'তে জোড় কাঁপন দিলো
           জলের তোলপার
ঘনিয়ে গেল অকাল জীবন
           স্বপ্ন সুখের ঘর।
        
থামল যখন ঝঞ্ঝা প্লাবন
                 হাতটা দেখি হায়
            পাশে সে তো দিদির আঁচল
            আর কিছুই নয় ।সুখটা ছিল দিদির কেনা-
          আমি সরজ্ঞাম, পাশে তখন দিদির কদর
             আমি অনিশ্চয় ।
      
তখন আমি অনেক বড়
             প্রায় আকাশ হয়ে গেছি
তুই ভেবেছিস্ সত্যি বোধহয়
             সে ছোট্ট হয়েই আছি ।
শাড়ী'টা অার জড়ায় না গাঁ
              সাঁঝের বেলার ছাঁত্
একলা আজো ভীষন টানে
               ঘনায় গহীন রাত।
স্বপ্নটা তো কেবল হাসে
               দিন গড়িয়ে সাঁঝ
ভাসছে পটে তোর আদরের
                জমাট কারুকাজ।


তখন আমার তীব্র প্রখর
                  আসিস না আর ছাঁতে
            প্রবল জ্বরের প্রলেপ অামার
                 তুই তৃপ্ত দীঘির বুকে।
    শেষের আলো কাঁপন দিলো
                       তোদের গেরস্থালী
         উপছা সুখের সাগর দিলাম
                  অমর প্রেমের ডালি।