গাছ ভেঙে শেকড়েরা ছেয়েছে নগর
ভয় হয় জড়াবে আমায় যেন অতপর
মাটিময় হাতে,পায়ে,নখের আঁচড়ে
ছিড়বেই আমার প্রখর প্রাণ নির্বিচারে।


ছাড়ো না আমায় কম তো কষ্ট নয়
নতজানু  হাভাত' তথাপি সমন্নয় ?
গতকাল্ দিয়েছি রসদ রৌদ্র ,জল্
ছায়া নিলে ? আজ হায় বৃথা সম্বল !!


বলো, দিয়েছি সাদর বেদী দেবতার
কাকলি সুজন আর বাতাস ভরসার ।
বাঁশরীর ছায়াময় ভরসা ধেনুয়া
আরো কতো ভরসার স্নিগ্ধ প্রচ্ছায়া ।


ছাড়ো হাত রৌদ্রের কড়াকড়ি তেজ্
পায়ের বেড়ীতে বুঝি সহায় নিশে:ষ
নিয়েছ সদয় যত মাধুর্যের ভাষা
কন্ঠরুদ্ধ বাঁশরীর সর্বনাশা নেশা।


প্রবর আমার ভীতু রেখেছে শপথ
যাও সরে পড়ি পায়ে ছিন্ন মনোরথ
ঝুমকো জড়াও কেন মাধবী লতা
কন্ঠের মুক্তাহার ছাড়ো স্বর্ণলতা ।


শেকড় সজ্জায় লজ্জা মিছে আভরণ
দোহাই সাজাও আজ প্রিয়'র বরণ।
পাতাদের বেদীমূলে কঠোর বাসর
সাজাও এবার বেশ মাটির বহর ।


খোলো বেড়ী শেকড়ের নিঠুর বাঁশিয়া
চন্দ্রবদন যেন অ-মলিণ মরমিঁয়া
ফেদেছে ফাঁদের রশি সোহাগ বঁধূরে
চন্দ্রগ্রাস হতে দাও নীলাকাশ জুড়ে।