তেমন নৈসর্গিক রুপ হলে
             নারীরা যা হয়,
কোনকালেই তেমন ছিলাম না বলে-
আফসোস ছিল না কখনো,
শাড়ীটা পড়তাম গুছিয়ে, বাবা বলতেন," ভালোলাগে"
খোপায় জড়াতাম যুঁইয়ের মালা,
মৃন্ময় দা বলত, "বাহ্"
"হাত ভরা গয়নায় ,নারীর আবেদন বৃদ্ধি পায়",
বলতেন সরদার কাকু,
সময়ের সরণীতে যখন গেঁথে যাচ্ছে
আমার নারীত্ব,মাতৃত্ব,সতীত্ব
কোমলতা বাড়াতে আমি জড়িবুটিতে ব্যাপ্ত
সাময়িক আমি নামতে থাকি শৃঙ্খলা থেকে,
শৃঙ্গের হীমের কৌশলে-
ফসকে যায় চলা, অসংখ্য বরফে মাখামাখি
থেতলানো উরু উপত্যকা
বসন-ব্যাসনের স্থায়ী সরঞ্জামে
পচনব্যাপ্ত অনুপ্রবেশকারী কীটের,
কেবল আহ্লাদী পায়ে ঝলক ভায়রাস।


ঘুম থেকে উঠে থতমত এসেন্স ঘষি
পেডিকিওর, মেনকিওর, ন্পা,ম্যাসাজে চৌখস আমি
ঘাড়ে শ্বাস ফেলা বিদীর্ণ টেবিল'টা-
আগোছালো কাগজ,কলমে ডাস্টি
কিংবদন্তী আমার বাইপাস চলছে
উদ্ধারকার্যের ক্রম কোলাজে পাল্টে যাবে অস্তিত্ব
শুধু আবর্তন চেয়ে ওরা উসকে দেবে-
শাড়ীতে কোমলাঙ্গ, নোলকের কনে ,অার-
গয়নার রোশনায়ে ঝলক ফেলতে থাকবে আমাদের
জড়তা,রোমঞ্চতার ভবিতব্য-


বাবা,মৃন্ময় দা আর সরকার কাকুরা হয়তো
হা,হুতাশ করবেন সাষ্টাঙ্গের মেয়ে দেখা হল না বলে
আমি খাবি খেতে থাকব আমার বায়নার-
টেবিলে ছড়িয়ে থাকা ভবিতব্যের স্বপ্নগুলো ঘিরে,
দুঃস্বপ্নটা কিন্তু থেকেই যাবে," তেমন নৈসর্গিক হতে চাই নি বাবা।"