শরীরে এখনও অনেক প্রত্ন ভীড়
ক্ষেত বুনে কবে যব করেছিল চাষ
বহেছিল যবে স্রোতস্বিনীর ধারায়
শহর নগরে নারী নাম প্রেয়সীর।


দুই হাত তুলে সেদিনও সেধেছে নারী
নাওগো আমার দু'ছটাক মোহ মায়া
দাঁড়াও সমুখে বিন্ধ্যাচলের প্রহরে
ছায়াটুক জুড়ে নত হওয়া শুক সারী।


পৃথিবীর যব বুনেছে নারীর সমাজে
অধেক ফসলে পৌরুষ হানাদার
চার হাতে তার শিল্প ফলনে কতটুক
খোদিত পাথরে সভ্যতা ফলে আছে ।


সেদিনও দেখেছি হিংস্র দু'চোখ ক্রোধ
খোদিত গুহায় লালসার টানাটানি
তফাৎ দেখিনি এদিনও মোহ দুনিয়ায়
দ্বন্দ সমাজে বিভেদের প্রতিশোধ।


আধেক ক্ষেত্র দখলদারি বাকিটুক ঐহিক
নিমীলিত চোখ পৌরুষ আঁকে যৌবন
হরেক বর্ণে হরেকের মোহে জয়গান
নারী বয়ে চলে জনম জনম শারিরীক।


আঁচলে অগাধ বিষের ক্ষত তবুও মন্দাকিনী
ভারতবর্ষ গোটা দেশ জুড়ে অন্তর চেনাচিনি।
বৃত্তের মাঝে অটুট আজও সে রসায়ন
রং রুপে সাজা  নারীদেহে রুপ যৌবন।