ফিরে চলে গেছি , পেছন ফিরলে আর
ছায়াটিরও দেখা পাবে না কোথাও,একটু একটু করে
গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে,
কাব্যে,কবিতায়,কাহিনীর প্রত্যঙ্গে
অনেক অনেক অবহেলা ক্রমে পরিণত করেছে আমায়
মিশে গেছি তৃতীয়ের অতসী গভীরে
কাঁচের স্বর্গে তাই রেখেছি ঠিকানা
খুঁজোনা বেনী দোলা কবেকার সেই ছদ্মবেশ
সেও তার সূচিপত্র নিয়ে ফিরেছে গুটিয়ে
পাথরটি গড়িয়ে আঁধার বুঝি মিশেছে সাগরে,প্রতিরোজ
জন্ম হত জৈবিক উদ্যান তুমি তার জলতরঙ্গ ছিলে
শব্দ তার বৃত্তের বাহার নানান ছলকে
তরঙ্গ চ্ছলে মুখে গালে ছোঁয়াত উচ্ছাস,সেসবও ভুলেছি
কত রাত ভোর হয়ে গেছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
হতাশ বেদনা, টুপ টাপ শব্দে শুধু নীরব পতন।
সেই শব্দ শুনি আমি নিরেট প্রাণের
নিথর পাখীর মত নিষাদের ব্যার্থ অহংকার !
ও কি সম্পত্তি চেয়েছিল ?
অর্থ কি পেরেছে কেড়ে নিতে,একটুক প্রেম শুধু
ন্যুনতম ভাষা ছোট্ট হৃদয়ে নিরিবিলি খুব
চেয়েছিল জানাতে শুধুই,সঙ্গী ছিল না তাই সহসা একাই
আর্তনাদে চৌচির হৃদয়, পাখীটা বোঝে নি
কি মারাত্নক লোকাচার পাষন্ড ঘাতক
মৃত্যু তাকে ডেকে নিয়ে গেল
শার্শিতে ঝরবেনা জল আর, ঠুকরে নেবেনা
কোনও দিন, সে খেলা বন্ধ আজ থেকে !
কোনও প্রত্যাশা নেই, শষ্যদানা নেই প্রয়োজন
সভ্য লোকেরা হাই নেক প্যান্টালুনে কিছুটা ওপরে আরো
ততক্ষণ ক্ষয় হোক একত্রিত পাথর বাটি টা
ততক্ষণ স্নায়বিক অপদার্থ গুলো চেয়ে থাক্
জৈবিক ক্ষুধাবৃত্তি নিয়ে
ততক্ষণ সাটিন টাইয়ের ঝুল দু ইঞ্চি বাড়ুক কিছুটা
বৃদ্ধি হোক পরম্পরা পিতামহ প্রপৌত্র ছেলেরা
বীর ভোগ্যা উলঙ্গা জাহ্নবীর !