এইমাত্র উপক্রমণিকা জুড়ে তোলপাড় শুরু
নগর,শহরে ব্যস্ততা
আরেক অধ্যায়ে
আপাতত নিবন্ধীকরণ
.........................................................
অমন করে কৃষ্ট সভ্যতা থেকে মুখ ফেরানো কেন ?
আগুণ চাষে পূর্বপুরুষের অংশ ছিল বলে
তাকে তুমি নির্বাসন দিতে পার না
দন্ড দেব বলে দু'কাঁধ ঝাঁকিয়ে ; সাম্য গাইলেই
মৈত্রী ফেরে না
পথের বাঁকে যখন প্রারম্ভিক সূচনা চলছিল
তোমায় দেখা যেত ভিক্টোরিয়ায়
মনুমেন্টে , শহীদ মিনারে জাগিয়ে তুলছ সাম্প্রতিকী
ঝড়,বন্যায় তোমার হিমশিম ব্যস্ততা
বার বার জন্ম দিয়েছে প্রশস্তি
হেঁটে গেছে সভ্যতা মুক্ত আলোকে
আজ চূনী,পান্না ,মুক্তো হয়ে ফলেছে অলিতে গলিতে
তার ত্রিস্তরীয় বৈঠকে যখন
আগুন নিয়ে কথা উঠল
নিশ্চুপ তুমি , বন,বাঁদার দিয়ে হেঁটে গেল জ্বলন্ত মানুষ
তুমি কেঁপে উঠলে না
মালতির ভিটে জুড়ে তিনশো ষাট ডিগ্রী ফারেনহাইটের
ধ্বংসাবশেষ ,ছাড়খার পশু,গাছ,প্রাণী
তুমি অবলীলায় পাশ কাটিয়ে চলে গেলে
অরণ্যশ্রেণীর দাবানল ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন গোটা শহর
অবস্থাণ, পরিশিষ্ট , পরিচিতি পুরে ছাড়খার
তুমি বলছ দন্ড ! !


মানুষের পোড়া দেহে যখন জুড়ছে শেষ পেড়েক
তুমি কি প্রশান্ত মুখে ঘোষণা করছ
রবীন্দ্র নজরূল সন্ধ্যা
যাদের অগ্নি সংযোগে পোড়া মানুষের অস্তিত্ব সংশয়
তুমি হয়ে গেলে তাদেরই অনুগত
চেরা গলায় মেলালে অভিপ্রায়
অমায়িক, বাদহীন কন্ঠ


সভ্যতার নিষেকে পূর্বপুরুষের তাবৎ সংগ্রাম ছিল
পাথর ঘষার অব্যয়ে তাদের আগুনচাষ
তুমি অখ্যাতি করতে পার না
অপব্যাখ্যাও না


যখন তোলপাড় চলছে উপক্রমণিকায়
অন্য উপায়ে সভ্যতা ফলছে
অন্যান্য গুপ্ত প্রথায় ,তুমি নিদান দিলে দন্ড
পোড়া , ভাসা , দগ্ধ শবে মানুষের গন্ধে যখন
জুড়ে বসা শেয়াল ,শকুনের থাবার সন্ত্রাস  


হায় !! হন্যে হয়ে
খুঁজতে থাকি সাম্য , প্রগতি, মৈত্রী , ঐক্যের ভেদাভেদ
তোমার ভিন্ন থেকে ভিন্নতর কন্ঠবৃত্তে