আজ থেকে আরো সহস্র দিন আগে
হে সমাজ তুমি আমায় বলেছ যন্ত্রম।
দুয়ারে আমার তোমাদের দুরারোগে
কেনা বেচা শ্রম অবাধে বিকিয়ে যায়।


দায় ছিল যার সে এক দালিমরাজ
গল্পটা শুরু প্রজাদের দাবি দাওয়া
কাহিনী এখানে প্রতিদিন প্রতারিত
শ্রমের ফসল লাগাতার খাবিখাওয়া।


সেজে ওঠে শ্রম নাচ গান ময়দানে
কুমারী শিশুর আগল ভাঙারনামে ।
রত্নে খচিত শ্রমের নানান ধরণ
রেখেছে ওরা ট্রেন বাসে সযতনে।


পাহাড় প্রমাণ শ্রমেরা নিছক ঘাতক
ওৎ পেতে মারে সৎ মানুষের দাও
ওদের শ্রমের মূল্যে নেহাত আড়ালে
গায়ের জোরের মুলুক বিকিয়ে যায়।


পাথর খাদান জমাজমি দেশেদেশে
বহেছে বিভেদ স্বজাতের লাশেলাল
প্রশ্নে তাহার শত শ্রমিকের জন্মায়
দারিদ্র্যে লেখা অকথিত ইতিহাস।


রুটিতে লেগেছে শ্রেণী দ্বন্দেরছোপ
নিষেধের ধাতে নব্যায়নের নামে
জোট বাঁধে ওরা কৌতূহলের মানে
জোট বাঁধে ওরা মহান প্রেমের নামে।


আজ থেকে আরো সহস্র দিন পর
নতুন সূর্যে মুক্তি ঘটাবে ওরাও
পথ প্রান্তর ভরে যাবে ওরা মিছিলে
আরো দাবীসহ মুক্তির আশ্বাস।


গম বুনে যাবো আমিও বিনা শ্রমে
সমাজ দেবেনা সে শ্রমের সংগ্রাম
রোগ শোক ভেজা ঘামের ঘূর্ণাবর্তে
রয়ে যাবে শ্রমে বিজাতীয় সম্ভ্রম।


তুমি কি দেখনি নৈতিক ভেদাভেদ
শ্রম তুমি কত কপট বোধের ঘরে
প্রভেদ বেড়ী কাঁটাতার জুড়ে দিয়ে
পৃথক করেছে গৃহীর শ্রম দাবীরে।