হে স্বাধীনতা,
আমাকে শুইয়ে রেখেছ কিছু তরুণের চর্চিত বাহুমূলে,
প্রান্তে বইছে গঙ্গোত্রি স্তনাধার ,
অসংখ্য শিশুর স্ত্রোত্রে পূণ্যবাহি মাছির মতো অধীর,
আমার কানে স্তোত্র কথা বলে,হাসে!
পূণ্য সলিলা তটে পদার্পণ করেন না কবিকঙ্কন,
আছড়ে পড়ে না জ্যোতির্ময়ীর আলো,
স্বাধীনতার গানে একটি প্রভাতও উদ্বেলিত হয়না,
বক্ষপঞ্জর ভেদ করে না কোন উদ্দিপীত বজ্রকন্ঠ।
হস্তান্তর হতে থাকা অস্তিত্বে শোয়ানো থাকে দেশের পতাকা,
তোমায় বোঝাবে বলে মার্চ পাস্ট করানো হয় বছর বছর,
ঝোড়ো গানে নব্যতার বারংবার উদ্বোধন।
অবিচল স্থানে ক্রমে জড়ো হয় অতসী,মানসী,ছন্দসী'রা,
দেহের ওপর বহে যায় স্বাধীনতার বারোমাস্যা,
নিশ্চুপে সংগ্রামী এসে বসেন,দেখান বাহাত্তরের দাগ
জীর্ণ পৃষ্টায় ক্ষয়িষ্ণু সংগ্রাম,
তারপর কয়েক ফোটা অশ্রু রেখে উঠে যান ;
আমার দুরারোগ বুঝে যান বলে ।
আমি রুটির দায়ে বিকিয়ে আছি একথা বলা হয় না
উনি ঘেন্না পাবেন,
ততদিনে যুবকেরা বুঝে গেছে
স্বাধীনতার হরেক অর্থ থাকে,
সেখানে রুটির পড়ে হুমড়ি খায় অন্ধকারের মাছি,
গভীর জঠর হাতড়ে টাঙিয়ে রাখে বুভুক্ষা ,
স্বাধীনতা, প্রতিপল মুমূর্ষের কাছে দোলাতে থাকে রুটি,
দূরে অদৃশ্য কার্তুজে আমাদের ভাগ্য দোলে ।
শক্তিশালী রুটির কাছে বিকিয়ে যায় আমাদের ভবিতব্য ,
আমাদের মগজ জুড়ে মার্চ পাস্ট করে নব্য তরুণের সহৃদয় বাহুমূল।
........................................................................................................