শুধু তোমারই জন্য আমার কবিতার জন্ম হয়েছিল,
উন্মুখ কলম গর্ভ নিদারুণ প্রসব যন্ত্রণায় কাঁতরে
সৃজন করেছিল কয়েক-ছত্র ভাষা।
তুমি ভালবেসেছিলে;
জড়িয়ে নিয়েছিলে তোমার শরীরে, পরম আদরে।
সীমাহীন আনন্দে গ্রহণ করেছিলাম তোমার অভিব্যক্তি।
প্রতিটি ফাগুণ গন্ধ গায়ে মেখে,
দিন-রাত্রির সন্ধিক্ষণে আমার কবিতা বড় হয়েছে রোজ!
কবিতা আর টলমল পায়ে হাটে না,
প্রত্যয়ী কদমে সে এখন প্রতিভাবান সন্তান।
তুমি দেখেছ, চোখ মেলেছ-
কিন্তু ভালোবাসো নি আর কখনও।
ঈর্ষা, অনুযোগে আলাদা হয়েছে বিছানা;
আমার কবিতা এখন আমার সাথে শোয়।
ঘুম চোখে মাঝে মাঝে খোঁজে নিরাপত্তা, খোঁজে তোমায়।
ঘুমন্ত তুমি, পাশবালিশ আঁকড়ে তাকিয়ে দেখো না আর!
অথচ তোমারই জন্য আমার কবিতার জন্ম হয়েছিল।
বন্ধ চোখে তোমার নিরুত্তাপ গভীর নিঃশ্বাস,
আমার চোখের কোণা ভিজিয়ে দিয়ে যায়;
আমার কবিতা এখন আলাদা ঘরে শোয়।
তোমার আমার বরফ শীতল যুদ্ধে বড় ক্লান্তি আসে তার-
ছিটকিনি তোলা দরজার বাইে দাড়িয়ে কান্না শোনা যায়!
আমার কবিতা আর বাঁচতে চায় না কিছুতেই!
একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতায় বেছে নেয় আত্মহণণ, নিশ্চুপে, অজান্তে।
একদিন তোমারই জন্য আমার কবিতার জন্ম হয়েছিল,
আজ শুধু তোমারই জন্য আমার কবিতার মৃত্যু।।