এসো চাবুক মারো!
সভ্যতার পিঠে বসিয়ে দাও একশো পঞ্চাশ ঘা।
সভ্যতা কাঁদুক, চিৎকার করুক;
তুমি থেমো না, এসো চাবুক মারো!


চাবুক মারো ঐ শিশুটার জন্য,
সেদিন খাবারের খোঁজে ডাস্টবিন ঘাঁটছিল;
কুকুরের মুখ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ভাতের দানা।
চাবুক মারো পাশের বাড়ির মেয়েটার জন্য,
পণের ছোবলে গায়ে দেশলাই জ্বেলেছিল চুপিসারে;
ধোঁয়া হয়ে মিলিয়ে গিয়েছিল শেষ হাসিটা।
চাবুক মারো ল্যাম্পপোস্টের গায়ে দাঁড়ানো শরীরের জন্য,
প্রতিরাতে খুবলে খুবলে নেয় আরেকটা শরীর।
অথবা ওপাড়ার বড়বাবু?
টেবিলের তলায় হাত বাড়িয়ে শুষে নেয়
শেষ রক্তবিন্দুটুকু। তার জন্য মারো!


আমলাশোল থেকে উঠে আসা লক্ষ্মী,
দু’মুঠো খাবারের আশায় বেচে দিয়েছিল তার মা।
লক্ষ্মী ফেরে নি….লক্ষ্মীরা কখনও ফেরে না।
চায়ের দোকানে আট বছরের রতন,
সর্ব-শিক্ষা অভিযান নাগালই পায় না ওর।
আমার বাড়ির কমলার মা,
পুড়ে যাওয়া গায়ে দিব্যি জল ন্যাকড়া টানে।
আর কত? কত জানতে চাও তুমি?
থেমো না, তুমি থেমো না।
এসো চাবুক মারো!
সভ্যতার পিঠে বসিয়ে দাও একশো পঞ্চাশ ঘা!!