গঙ্গা এবং পদ্মা-
স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে বয়ে চলেছে, বয়েই চলেছে।
মধ্যিখানের সীমানাটা জলের তোড়ে অদৃশ্য।
মাঝে মাঝে পদ্মার বড় মন খারাপ হয়-
ওপার থেকে চেঁচিয়ে ডাকে,
“ওরে গঙ্গা, শুনতে পাচ্ছিস বোন?
কেমন আছিস? আমাকে মনে পড়ে?”
গঙ্গার কণ্ঠস্বরও সীমান্ত ছাপিয়ে যায়,
“আমরা যে সহোদরা!
ভালোবাসা যে অবিচ্ছিন্ন, নিরন্তর।“
পদ্মা খুশী হয়, গঙ্গাও।
তবে আবারও ভেতরটা কেমন হু হু করে!
যদি একটু ছোঁয়া যেত! হবে কি? কখনও?
আবারও দুই বিচ্ছিন্ন অঙ্গ মুখোমুখি?
গঙ্গা-পদ্মা জানে, কত যে নিয়ম!
বাধা পেরিয়ে যাওয়া বেশ দুষ্কর, কষ্টসাধ্য।
তবুও কি প্রচণ্ড একটা ইচ্ছে হয়;
ইচ্ছে হয় ভীষণ জলস্রোতে সমস্তকিছু গুঁড়িয়ে দিতে!
ওরা বোঝে, কোনদিন ওদের দেখা হবে না।
তৈরী হবে না পদ্মা-গঙ্গা সঙ্গমস্থল;
শুধু সীমারেখা ছাপিয়ে এভাবেই ফিরে ফিরে আসবে
তীব্র ভালোবাসার ডাক, গভীর টান।
আর সেটুকু সম্বল করেই ওরা বইবে,
বয়ে যাবে এই দ্বি-ধারা, অন্তহীনভাবে!!