এখনও তোমার গায়ে আঁকা থাকে
জলের আলপনা-
ভোরের স্নান-শেষে ঘোমটার আড়ালে সিক্তবসনা তুমি,
বেঁধে দিয়ে যাও কোন কবির কবিতা।
অথবা একলক্ষ পুরুষের বুকে কয়েক লক্ষ বজ্রপাত!
তোমার ভেজা চুল, খোলা পিঠে লেগে থাকা
অজস্র ফোঁটা জল,
যেন গভীরতায় মোড়া রহস্যময় কিছু কুহক!
খেলা করে তোমার শরীরের আড়ালে। নিবিড়ে।
তোমার প্রতিটি পদক্ষেপে রেখে দিয়ে যাও,
অগণিত ব্যর্থ প্রেমিকের দীর্ঘশ্বাস!
অসংখ্য না পাওয়া কামনার বাহুডোর।
আমিও বুঝি সেই না পাওয়া, ব্যর্থদেরই দলে;
অথচ তোমার সম্মোহনী আমারও ভেতরে
একদিন জ্বালিয়ে দিয়েছিল অশনি-সংকেত!
চিন্তারা মনের জাল ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসতে চেয়েছিল।
কাব্যিক শিহরনে দামামা বাজিয়েছিল বুকে!
ছুটে গিয়েছিলাম, আগলে দাঁড়িয়েছিলাম পথ;
কিন্তু পরক্ষণেই এ কি!!
এ যে ভয়াবহ! ঝলসানো রূপে নারকীয়!!
মুখ থুবড়ে পড়েছিল কামনার বুভুক্ষুতা।
তিলে তিলে গড়ে তুলতে চেয়েছি প্রতিরোধ, রোজ।
বারবার মনে করতে চেয়েছি- না, আর নয়।
ঐ ভয়াবহতায় শিউড়ে উঠতে চেয়েছি প্রতিনিয়ত।
তবু প্রতিরোধখানা ভেসেই চলে যায়,
ভোরের আলোয় আবারও সেই জলের আলপনা-
কামনা-বাসনার ঊর্ধ্বে বুঝি আরও কিছু;
পবিত্রতায় পরিপূর্ণ কোন নৈসর্গিক অনুভূতি!!!