দেখেছ? পৃথিবীটা ঘুরে চলেছে
সাড়ে ছেষট্টি ডিগ্রি কোণে,
একই ভাবে, একই দিকে, রোজ।
একই নিয়মে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা-
আবারও চলতে থাকে শশীবাবুর শসা কেনা,
বাঙালীর মাছের থলিতে ফের উঠে আসে
পাঁচশো রুই কিংবা কাতলা, বারবার।
একই ভাবে দপ্তরী কলমই পিষে যান,
দিনান্তে পাড়ি দেন লক্ষ ভাবনার সাগরে।
চায়ের দোকানে ঊর্ধ্বমুখী জনসংখ্যার পারদ;
রকের কণ্ঠে আজও ভেসে আসে নস্টালজিয়া-
“কে তুমি নন্দিনী”র পাশে বসে “উরিব্বাস!”
পঞ্চবার্ষিকীর পিঠে বাড়তে থাকে বইয়ের বোঝা।
আজও ছাদ ও রাস্তার মাঝে চলে চোরা চাহনি;
ব্যর্থ প্রেমিকেরা সান্ত্বনা খোঁজে রঙিন জলের আড়ালে।
সবই কিন্তু সেই নিয়ম মাফিক, একই ভাবে।
বেশ তো! তাতে কার কি এলো গেল?
যায় যায়। যদি বাস করে আমার মত কিছু আহাম্মক।
যারা সমাজের বুকে ছুঁড়ে দেয় ফুঁৎকার,
সমালোচককে দেখায় বুড়ো আঙ্গুল,
আর নিন্দুকের দিকে তুলে দেয় তর্জনী।
আমারই মত যারা বাঁচতে চায় অন্যভাবে,
খুঁজে নিতে চায় অন্য কোন পথ, গলিরাস্তা-
যারা স্বপ্ন দেখে, চায় পৃথিবীটা ঘুরুক লম্বভাবে,
তাদের কি বলবে? সৃষ্টিছাড়া নাকি নিয়মের বাইরে?