গভীর রাতে দড়াম করে দরজা খুলে হাট-
ঘুমের মাঝে কেবা যেন নড়ায় জোড়ে খাট,
খাটের উপর হাত-পা ছোঁড়ে ছোট্ট খোকন সোনা,
ভীষণ জোড় ডাকছে তাকে ধরে হাতের কোণা।
চমকে উঠে যেই না তাকায়,মাথায় ওঠে চোখ,
ওরে বাবা রে! এ যে দেখি বিশাল বড় নখ!
শুধুই কি নখ? না রে বাবা, আরও আছে কাণ্ড,
চোখের কাছে গর্ত যে হয়, খোকন কি তা জানতো?
দাঁতগুলো সব মস্ত বড়, উফ্ সে কি ধার!
হায় রে খোকন, কি হবে তোর? বল দেখি এবার!
হঠাৎ করে উঠল নড়ে নখের আগাগুলো,
“কি রে খোকন, মিথ্যে বললি? দুধ যে খেল হুলো?”
খোকন বলে, “না তো, না তো, দুধ খেয়েছি আমি।
মা কে যদি মিথ্যে বলি, মা কি দিত হামি?”
“মোটেই না, দেখেছি আমি, হাওয়ায় যেতে যেতে,
দুধের বাটি হুলোর সামনে, খাচ্ছে চেটে চেটে।
তুই যে বড় মিথ্যে বলিস, ঠিক কথা তো নয়,
দ্যাখ রে খোকন এবারে তোর কি যে দশা হয়!”
খোকন এবার কান্না জোড়ে, “আমায় ছেড়ে দাও,
ঐ যে দ্যাখো দুধের বাটি, সবটা তুমি খাও।“
“হা: হা: হা:”, সে কি হাসি, পিলেটাই চমকায়!
“তুই যে ভীষণ দুষ্টু ছেলে, তোকে ছাড়া যায়?
তোর ঘাড়ের উপর উঠে আমি মটকে দিয়ে যাব,
তোর মুণ্ডুটাকে ধরে আমি কপাৎ করে খাব।“
যেই না বলা একটা লাফে অমনি চিৎপাত,
নখের আঁচড় ধরে ফেলেছে খোকন সোনার হাত।
“ও মা, তুমি কোথায় গেলে?” ডুকরে ওঠে কান্না,
হঠাৎ শোনে বলছে মায়ে, “আহা! খোকন থাম্ না।“
যেই না শোনা, অমনি খোকন ভীষণ ভীষণ খুশি,
“কোথায় গেলি ভুতের রাজা? মারব টেনে ঘুষি।“
কোথায় কে? সবই গেল হাওয়ায় মিলে ফুস্!
তবে বুঝি স্বপ্ন ছিল? খোকন ভাবে, ধুস্!!!