মাঝে মাঝে নিজেকে বড় অন্যরকম লাগে,
মনে হয় ঐ ছায়াটার বাইরেও
বুঝি আরও কিছু আছে, একটা অচেনা আমি।
আয়নার সামনে দাঁড়ানো প্রতিদিনের চেনা প্রতিবিম্ব,
আমাকে আর স্পর্শ করে না কিছুতেই।
সেই একই চেনা, অভ্যস্ত অঙ্গভঙ্গি,
সেই একই ভাবেই দিন, আর দিন থেকে রাত।
নতুন মোড়কের আড়ালে আমি কি পাল্টে গেছি?
কে জানে? কেই বা বলতে পারে?


হঠাৎ একদিন সাধ জেগেছিল বেয়াড়া হব।
ঠিক ততটাই, যতটা হলে আমি আর লক্ষ্মী মেয়ে নই,
বা যতখানি হলে পিঠের গায়ে গজিয়ে যায় দুটো ডানা,
চামড়ার স্তরে বিঁধে যায় ঝোড়ো কালবৈশাখী, আর
যতটা হলে আমার নাম হয়ে যায় আগুন।
বেশ তো ছিল, ভালোই তো ছিল সবটা-
তবে কেন যে জেগেছিল দামাল হওয়ার আশ,
প্রশ্নচিহ্নটা থেকেই যায়, থেকে গেছে আজও-।


শুনেছি এখনও নাকি সবটা শেষ হয়ে যায় নি।
ছাই চাপা গনগনে আঁচে জ্বলছে ধিকিধিকি,
বাকিটা শেষরাতের মশালের মত অস্তিত্বের খেলা খেলছে।
মারণ ফাঁদ নাকি ডাকছে আমায়? কোথায়?
অপেক্ষায় আছি। জানলায় চোখ রেখে বসে আছি বহুকাল!
দেখছি, এখনও সূর্যটা রোজ মাথার উপর আসে,
মধ্যরাতে আবরণহীন জোছনা ভাসিয়ে দেয় গা।
অবাক চোখে আমি এখনও স্বপ্ন দেখি,
শুনেছি কালপুরুষটা এখনও জেগে ওঠে রোজ, প্রতিদিন!!