বসুধা পৃথিবীর কাছে এসে দাঁড়িয়েছিল
প্রায় একলক্ষ বছর আগে, আশ্লেষে।
হাত বাড়িয়েছিল সেই ঈশ্বরের সন্ধানে,
যার নাভিমূলে চক্রাকারে আবর্তিত প্রাণ।
বসুধা খুঁজে পেতে চেয়েছিল ঈশ্বরত্বকে,
যেখানে নারী হঠাৎ দেবী হয়ে যায়,
লাস্যময়তা, মোহময়তা নিঃশেষিত হয়।
বসুধা হেঁটেছিল বহু বহু যোজন পথ;
মাথার উপর দিকচিহ্নহীন উদ্ভ্রান্ত সামিয়ানা।
তারই তলায় মাথা গুঁজে বসুধা জেনেছিল
পথের স্বরূপ, জেনেছিল পথ কারও নয়।
আবারও সে ছুটে গিয়েছিল অন্য কোন প্রান্তে,
হয়তো নতুন কিছুর আশায়, নতুন দিশায়।
কিন্তু ছবি আঁকা দৃশ্যপট রয়ে গিয়েছিল অপরিবর্তিত।
ঠিকানাবিহীন বসুধা গন্তব্যে পৌছয়নি আজও-
এলোমেলো পথ পাড়ি দিয়ে সে বড় ক্লান্ত,
তাই আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে পৃথিবীর কড়ে আঙ্গুলে।
বসুধা এখন আর ঈশ্বরের খোঁজ করে না;
বরং বন্ধ চোখে বেছে নিয়েছে দেবদাসী রূপ,
উন্মুক্ত আঁচলে সদা ভরে নিতে চায় ছলনা,
চোখের জল ঘুমিয়ে থাকে ঠোঁটের হাসির কোণায়।
নিরাবরণ দেহে কৌশলী পদচারণা বিরাম পায়না আর।
বসুধা বোঝে, ভালবাসা লুকিয়ে রাখতে হয় অন্তর্বাসের আড়ালে;
বোঝে, এ যে নিবেদন নয়, একে বলে ভোগ।
আবারও বলছি, বসুধা ঐশ্বরিক কিছু কামনা করে না,
বসুধা জানে, তারই বুকের ঠিক মাঝখানে,
লক্ষ লক্ষ ধ্বংসস্তূপের ভিতর জ্বলে আছে, জ্বলছে ঈশ্বরকণা।।