অপরাধী পথ হেঁটে যায় একা একা-
দু’চারটে চায়ের দোকানে গরম আলোচনার মধ্যমণি,
এক তুড়িতে বদলে দিতে পারে গোটা পৃথিবী;
বাক্যবাণে থড়হরি কম্পমান মাতব্বরের দল।
অপরাধী আজকাল কথায় কথায় কাব্য করে,
জীবনানন্দ ঘোরে ফেরে ঠোঁটের আগায়,
দাড়ি, কমা, সেমিকোলনহীন অবোধ্য রচনাপাঠে;
পলকে বিমোহিত শতসহস্র শ্রোতা, বক্তা।
অপরাধী পদে পদে বক্তৃতা দেয়,
কথায় কথায় উঠে আসে শচীন থেকে বুশ,
বন্ধ চোখের পাতায় অগুন্তিবার বিশ্বভ্রমণ;
ইংল্যান্ড থেকে ইস্তানবুল অনায়াস যাতায়াত।
আদপে কিন্তু অপরাধী বেশ সামাজিক,
বাস করছে কোন শহরের কোন এক খালপাড়ের ধারে;
যেখানে ভাতের থালা ঢাকা পড়ে যায়
রঙিন ফুলেল শার্ট আর সস্তা পারফিউমের গন্ধে;
কাব্যিক অপরাধী সন্ধ্যে হলেই ঠাঁই পায় সরাইখানায়,
ঘরের কোণায় মাথা নীচু করে পড়ে থাকে সংসার।
গভীর অন্ধকারে যখন অপরাধী ফিরে আসে,
তীক্ষ্ণ আর্তনাদে তখন কানপাতা দায়।
অপরাধীর পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ সমাজ মার্জনা করে তাকে;
শুধু আর্তনাদের বুকে রেখে যায় কিছু কালো ছাপ,
ঘরের বাইরে মাথা উঁচু অপরাধী,
দিনের আলোয় নামে দশদিক সংস্কারের পথে!!!