(কবিতাটি আমার এবং আমার ভাই এবং এই আসরের সুহৃদ কবি হিমেল হাসান বৈরাগী'র যৌথ রচনা। খুব কাছের এই কবিতাটি আজ ভাগ করে নিলাম এই আসরে)


- কেউ বোঝেনা কতটা গাঢ় অন্ধকারে ডুবি।
   কত বিষাদ স্বপ্নগুলো রক্তকরবী।
   কেন করি রাত্রিরে চাষ উদাস ভৈরবি।
- এখন মরা খালের ধারে পড়ে আছে,
আমার বহু পুরোনো একটা বসন্তের বিকেল,
  আর কিছু উড়ন্ত রঙিণ প্রজাপতি-
  যদি পারো, তবে কুড়িয়ে এনে দাও!
- শেষ বসন্তেই হয়েছিলাম খুন।
  প্রজাপতির পাখায় ছিলো বিষন্ন আগুন।
  আমার কি আর সাধ্য আছে ফিরিয়ে দেবো তা?
  থাকনা অতীত, আমুদে গীত, চিনচিনে ব্যাথা।
- আজ নাহয় থাক সেসব কথা-
  কিছু মান-অভিমান তোলা থাক মৃত্যুশয্যায়;
  আজ কিছু অন্য কথা বলি,
  হেমন্তের পাখীর মতো নতুন একটা গান?
- আমি যে সুরে উঠতে পারিনা!
কে যেন পেছন থেকে টেনে ধরে।
  প্রিয় গানগুলো প্রচন্ড অভিমানে থাকে
  বালুর মত খসে পড়ে সুর
- ভুলে যাও সব। থামিয়ে দাও সময়!
  মুছে দাও পাতার গায়ে নির্বাচিত দুঃখ-কষ্ট।
  এসো, হাত ধরো! শান্ত প্রহর
  গুঁড়িয়ে, বাড়িয়ে দি যুগলে পদক্ষেপ।
- এভাবে কাছে ডেকোনা
   ছাঁই হয়ে যাবে।
   যদি পারো, আগুনের উৎপত্তিস্থল হতে টেনে ছিঁড়ো বহ্নি শেকড়।
   আমাকে শীতল করো সুশীতল সংগীতে
- তোমাকে দেওয়ার মতো কিছু নেই কাছে-
  বেহাগ, মালকোষ আর ঠিকানা চেনে না আমার;
  দাবানল নিভে গেছে সেই কবে…..
  পড়ে আছে কিছু কালো ছাই, সেটুকুই তুমি নাও।
- তবে তাই দাও!
  কার্তিক বাতাসে উড়িয়ে দেবো বাসি কিছু স্মৃতি।
  শুধু, চুলের খোঁপাটা খুলে দিও, মেলে ধরো বাহুদ্বয়,
  ওখানে উৎসব হবে জন্মের।