বিশ্বস্ততার কারাগারে বন্ধী এ মন
তব নিজ পুরুষত্বকে যেনতেন বিলিয়ে দিতে পারিনি
তোমার স্ব-যত্নে সাজানো ফুলের বিছানায় ।


আমি জানি অপরূপা এক সুন্দরী ললনা তুমি !
তোমার রূপের সিন্ধু নীরে সাঁতার কাটতে পৃথিবীর যে কেউ
তার সর্বস্ব বিলিয়ে দিবে অনায়াসে ।
আমি পারিনি, কারণ আমি বিধাতার দেয়া নিয়মে বন্ধী
যার সঙ্গে হবে আমার অনন্তকাল ধরে অনন্ত সন্ধী ।


আমি তোমার সাজানো ফুলের বিছানায় সঙ্গম খেলায়
তোমার বক্ষে সুডোল চূচীর লোভাতুর উন্মত্ততায়
ক্ষণিকের উম্মাদনা মত্ত দেহে হয়ত পরম সুখ পাব
কিন্তু আমার এ ভুলের মাশুল আমি কী দিয়ে শুধরাবো ?
হয়ত কেউ দেখবেনা, অন্ধকারে ঢেকে যাবে সমগ্রকাল ।


বিবেকের আদালতে আমি অস্থির অশান্ত প্রলয়ে হেরে যাব
এ ভয় আমাকে সেদিন তোমার সাজানো ফুলের বিছানায়
জ্বলন্ত অনলে মোমের মত গলতে দেয়নি,
তব তুমি ভেবোনা আমি অক্ষম, নিঃশেষ পুরুষত্বহীন !
আমার দেহে হিংস্র ক্ষুধার্ত্ব বাঘের মত পরিপূর্ণ যৌবন খেলা করে
আমি আসীম শক্তিধর, আমি দক্ষ ।


আমার ভাবনা গুলো আমাকে সংযত করতে অধিকতর ফখর
আমার দেহ শুধু একটি মাত্র নারীর অধিকার দিয়ে আবৃত
তাই আমি হয়ত সেই ললনার অধিকার হরণ করতে পারিনি,
আমি বিধাতার দেয়া আইন লঙ্গন করার দুঃসাহস নিয়ে জন্ম নেইনি
আমি নই চরিত্রহীন অশান্ত অস্থির , আমি সংযত স্থির !
তাই আজ হয়ত এই পৃথিবীর বক্ষে আমি মহাবীর ।