অবাক পৃথিবী,
স্বপ্ন নামের অদৃশ্য ছায়া দিনরাত করে রক্তের দাবি।
অন্নের টানে অন্নহীন কতজন,
পাথরে ঠুকরে মরে শত মন।
কেহ পায় না তাই খায় না;
কেহ চায় না তাই খায় না;
কেহ আবার অর্থ বাচাইতে না খাইয়া নাম বলে অর্ধাশন,
পথে ঘুমাইয়া ঘুমকাতুরে নাম করে কতজন।
পথ চেয়ে থেকে কভূ পথই থাকে না,
তবু কেন মুখ গুজে বিরহীপনা?
সাগর তীর ভাসায়,তুমি চক্ষু;
সাগরের জল আছে,তোমার দুক্ষু।
ব্যাথাকাতুর চোখে কত বলিল,
ভুখারী নই,অন্ন খাইয়াছি,
এইতো কিছুক্ষন আগে,
কে জানে দুই তিন রয় এই কিছুক্ষনের ভাগে।
যে ভেতরে বলে বাহিরে খাবো,
বাহিরে বলে ভেতরে খাবো,
আর যাই হোক তাকে মিথ্যাবাদী বলা চলে না।
বেদনাকে যে বুকে চেপে রাখে
ভীষণ সে,কীসে তার তুলনা?
অন্ন কভূ দিবে যদি দাও
যে দরিদ্র তাকে নয়
যে অনাহারে আছে,
দরিদ্রের অভিনয় অনেক সহজ,অনাহারীর জ্বালা,
যে না খায় সে ছাড়া আর বোঝে না কোনো বালা।
পৃথিবী তুমি সত্যিই মহান
সত্যরে রাখিয়া নিচে,মিথ্যারে দিলে উচ্চ অধিষ্ঠান।