অগোছালো ঘোরাফেরা,তিক্ত স্বাদের হতাশা
পক্কতা আনে জমকালো বেকারত্বের শরীরে।
প্রায়ই বিলুপ্তির হাতছানি স্মৃতিশক্তি পঞ্জিকায় নথিভুক্ত
প্রাত্যহিক সূচির; রাস্তা ঘাটের সচল চলচিত্রে
সফল মোহরেরা করে কিলবিল আর বিদ্ধ করে
অবজ্ঞার বাতাবরণের লৌহতপ্ত উষ্ণায়নের ছোঁয়ায়।
সময় অসময়ের সংঘর্ষের মাঝে হুংকারের নৃত্য
তান্ডব করে অভিবাবকত্বের গোড়ামী কন্ঠে।
একরাশ দূর পাল্লার উষ্ণ লোহিত যায় বয়ে
মস্তিষ্কের গহ্বরে, ধরে তারা খামচে প্রাণপণে
হঠাৎই চালিকা প্রধানের উগ্র কিছু বাহকেরা
উগরে দেয় অকথ্য ভাষার কয়েক থোকা লাভা।
আহত প্রতিপক্ষের মনঃকষ্টের স্পষ্ট পরিস্ফুটন,
মনের উচৈঃশ্বর পৌছে যায় সতেজ বিবেকের
লৌহ দ্বারে; চূর্ণ করে লৌহ দ্বারের কপাট।
বেকারত্বের কুষ্ঠ আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে আছে
জীবনতরুর প্রতি শাখায়; বিবর্ণ করেছে তা।
সুন্দর ধরার প্রকৃতির কোমল সৌন্দর্য আস্বাদের
ইচ্ছার প্রাবল্যতা সত্ত্বেও সমাজের কষাইখানায়
থেথলিয়ে দেওয়া হয়েছে আশার হাতছানিকে।
ইচ্ছাশক্তির কাছেও পরাজিত, সর্বক্ষেত্রে অপারগ।
নতুন করে বেঁচে ওঠার স্বপ্নও ঝাপসা আজ,
জানা, বোঝার বিজ্ঞতাকে আড়াল করে
ঘুমিয়ে যাওয়াই শ্রেয়, আপাতত সঠিক।
না,ঘুমানো সেতো কাপুরুষতা,ভীরুতা,উপহাসের পরিচায়ক...
কিন্তু জেগে থাকাও যে দুরূহ অসাড় হয়ে।
সরলতা,কোমলতা,স্নিগ্ধতা আজ ঝরা পাতা।
সবই এখন নিরস,শুষ্ক; ধোঁয়াশার রঙে রঙিন সব।