তোমায় ছাড়া কেটে গেলো
ছ-ছটি বছর এই দুর-প্রবাসে।
জীবনের পাথেয় জোগাতে অামি ক্লান্ত,
ইদানিং বড্ড দেখতে ইচ্ছে হয় মা
রোজ রাতেই তোমায় ভেবেই চলছি,
মাঝে মাঝে রাতে ঘুমাতে পারিনা!
সারাটা রাত বিছানায় এপাশ ওপাশ
করেই ভোর হয়ে যায়।


মাগো! তোমার পাগল অার পারছেনা
প্রবাসের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে,
মাঝে মাঝে মনে হয় কি মা,জানো?
মনে হয়, সব পাঠ চুকিয়ে একেবারে
তোমার কোলে ফিরে যাই।
কিন্তু পারিনা, ঐ দারিদ্র দানব
তোমার অামার মাঝে সাত সমুদ্র
তেরে নদীর দুরত্ব করে দেয়।
কত দিন তোমার অাদর পাই না
কতদিন তোমার অাদর মিশ্রিত ডাকে
অামার ঘুম ভাঙ্গে না মা!


কতদিন তোমার হাতের সরষে-ইলিশ
টাকি মাছের ভর্তা,তিলের মোয়া,
সজনের পাতায় মাছ চচ্চড়ি,
বাহারী পিঠা খাওয়া হয়না,
এখানে এগুলো কিনেও পাই না মা!


তোমার মনে অাছে মা! পড়ে কি মনে?
ঐতো সেদিন স্কুল ফাঁকি দিয়ে
ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলাম বলে-
অামায় অনেকটা মেরে ছিলে।
প্রচন্ড জ্বরে রাত প্রলাপ বকতে বকতে
এক সময় বেহুশ হলেছিলাম।
হুশ ফিরে দেখি অামার শিয়রে বসে
তুমি মাথায় হাত বুলাচ্ছো কাঁদছো।
চোখের এক ফোটা জল অামার
শরীরে পড়ার সাথে সাথে
কেন যেন মনে হলো সমস্ত ব্যধা,
কষ্ট ধুয়ে মুছে নিঃশেষ হয়ে গেল।


তোমাকে ভীষণ মনে পড়ে মা,
অামার এই প্রবাস জীবনের ছুটি
কবে হবে মা?
কবে তোমার শীতল বুকে অাবার
ঠাঁই হবে, বলতে পারো মা?