সোয়েটারের ঊল গুলো টেনে ধরে  উষ্ণতার রসদ খুঁজতে গিয়ে
না পাওয়া দেখার জমানো রাগ যখন চোখদুটোতে পুষে রাখি,
ভালোবাসার লণ্ঠনে সলতে জ্বলে ওঠে পুনর্বার।
চোখের পলকে তোর ছায়া যেন আচমকা মিশে যায় ভিড়ে,
কতবার ফিরে পায় তোকে তোর মুখের আদলে ঠিক নেই
শুধু লিখে দিয়ে যাস হৃদয়ের ডায়েরিতে তোর শেষ কথা গুলো।
লাজুক মুখে ঠিক করে ঘৃণাও করতে পারিসনি,বলেছিলি
ভালোলাগার খামে ভালোবাসার চিঠিতে উত্তর মেলেনা।
তবে আমার নামে তোর অস্থিরতা কেন সাড়া ফেলে ?
বৃষ্টিভেজা রাত্রে জানালায় তোর ফ্যাকাসে দৃষ্টিটা মিথ্যে বলে কি?
বেশ চিনেছি তোকে লুকিয়ে বালিশে ফুঁপিয়ে ওঠার শব্দে,
আমার দেওয়া ব্রেসলেট টা আজও ছুঁয়ে যায় তোর হাত
জন্মদিনের বাটি ভর্তি পায়েসে আমার অংশটুকু বাদ পড়ে থাকে।
আনমনে ঠিক বকুরামের ফ্লাশবাকে তোর গালে ভাঁজ পরে
আবেগি মনটা হঠাৎ খাঁমচে ধরতে চায় তোর আঁচল
কিন্তু কেন তুই এত দূরে ধরা ছোঁয়ার বাইরে ?
কোনোদিন কি আর আসবিনা ফিরে,জানি না আমি।
ব্যথার চাদরে গা ঢাকা দিয়েছি তবু আশা দেখি আবার
কোনোদিন হয়তো ভোরের আলোয় চোখ খুলবো তোর স্পর্শে,
জলের ঝাপটায় অসস্তি অভিযোগে শুনবো”উঠে পরো, বকুরাম”।