তারা মরিচীকার পানে ছুটে বেড়ায়
দিবা-রাত্রি অনবরত,
ছায়ার মাঝে বাস্তবতা খুজতেও
হয় না বিরত।
সুবিশাল মরুভুমির
তৃষ্ণার্ত প্রাণী যারা,
পানি নয়, সামান্য মরিচীকায়
ছোটে তারা।
প্রশান্তি পায়, একবিন্দু
বারি প্রত্যাশায়,
তবে ব্যর্থ হয়, যখন সে
লক্ষে পৌছায়।
অবশেষে ব্যর্থতার গ্লানী
সাথে নিয়ে,
ক্ষান্ত হয় না, বিপরীত লিঙ্গের
জাতি কে গালি দিয়ে;
বলে, হয়ত তারা কিংবা পৃথিবীটা
বড় স্বার্থপর,
কিন্তু তা নয়, চলছে এটা সীমাহীন
হ্রদ্রতার উপর।

ঘরে ফিরে জ্বালায় সিগারেট
নতুবা হাত-পা কাটে,
মন আর বসে না, বসে না
তাঁর বইয়ের পাঠে।
হয়তবা, হয়ে যায় কারো
হাসির পাত্র,
সেই ক্ষোভে আর দুশ্চিন্তায় জাগে
শত শত রাত্র।
সেদিন আর যায় না বন্ধু মহলে
কিংবা ক্লাবে
বসে থাকে হয়ে মনমরা,
ছেলেটার নেই আর শরীরে
সেই তেজ
হয়ে গেছে আধমরা।
অনবরত মরিচীকার পানে ছুটে যারা,
আর কিছু নয়, এমন দশায়
পড়ে তারা।