এক পলক যদি দেখতেই না আসো।
এক ফোটা অশ্রু যদি নাই উজার করতে পার।
আমায় যদি না বাসো ভালো
তবে দেখবোনা ওই চন্দ্রমুখে
অন্তিম সুখে রোদেলা আলো,
ঘনঘটা পৃথিবীর গভীরে যতই তোমার সোধা ঢালো।
আমি বিষাদে করিব বদন কালো,


ভেবোনা মোরে ভুলের ঘোরে প্রীতি হীন নর,
আমি দেখতে নারাজ প্রেমিকের প্রেম সমাধির পর!
কি হবে ভেবে হিংসুকেরে জনমের তরে
যার বাহ্যিক আভায় দুষ্টু আতস খেলা করে।
ঝরবে না কভু প্রেয়সী বিরহে শীক্ত অশ্রুজল
হেরিছে বিরহ সন্ধে নভে তারা ঝলমল।


জানি অবিচল তুমি এ কৃপন মহে।
অবিকল সাধিলে ইচ্ছা যত,
ত্যাগের মহিমায় নহে।
সহে বিরহ অন্য জনা
রহে নিখিল ধরায় চেতনা করিয়া আনমনা।
ভুলেছি নিরবে রঙ্গিন বাসনা
আমি মুল্যহীন নেহারের কনা।
অরুনের আভায় নজড় কাড়েনি
আনন্দে ছুইতে মোরে স্বপ্ন ধারেনি।


তার আসমানে মেলা অন্তরে
সে মরিচীকা ময় বারি পিপাসা রুক্ষ ভুমির প্রান্তরে।
তৃনের ভারে জীর্ন বেহা ল নীড়ে
আসেনি কেহ স্বপ্ন দেখাতে ফিরে।
আর্তনাদে অন্তর যদি চিরে
এই চারিধারে খুজবোনা তারে লক্ষ লোকের ভীড়ে।


সে ফিরিতে নারাজ চির চেনা স্বাধীন মুক্ত দ্বারে।
উড়তে নীরবতার হাতছানির বারান্দায়।
হরষে মাতায়নি তারে
সস্তা প্রকৃতির চির সবুজ পরশে!
মুছে গেছে সকল অতীত কৃত্রিম রঙ্গের মিষ্টি সরসে।
ঐশর্য আর লাবন্যের অনলে সৃষ্ট দেয়াল।


খেয়াল করিয়াছে ভিন্ন,
এ ভবের লোভে হায় বন্ধন করিয়াছে ছিন্ন।
প্রভুর কৃপায় সৌভাগ্যে জুটিয়া শীর্ষে গমনের বাহুবল।
কেন ভাবিলে বন্ধু অন্যকে নিতান্তই অচল??
সাথিকে লয়ে পরম আনন্দে তুমি নেপালের হিমালয়ে।
আমি ও আসিবো সংকট শেষে নতুন ধরনী জয়ে।


তখন হয়তো তুমি রবেনা সবল,
আগ্রাসি ঝড় আসিলে প্রবল
ভুমিকম্পে হিমালয় হবে নড়বড়।
হিংসায় হবে পতিত চুর্নবিচুর্ন বাড়িঘর।
আমার পদার্পনের পুর্বে
পৌছে সজ্জিত দুর্গে


যদি আমায় ভাবো শুধুই ফ্যাকাশে ফ্রেম
তবে তুমি আমার সর্বকালের পরিত্যাজ্য প্রেম!
তোমারি চাদরে রবে পরে দেহখানি।
দেখিব নয়নোৎসব তোমারি চাহনি।
করিব সাদর আমন্ত্রণ।
নিজেকে রাখিব তোমারি পথের যাত্রী।