কপাল কুন্ঠিত কোষাগারে কাঁদতে পারায় জব্দ।
হা হুতাশ হাহাকারে হাসিগুলোও নীরব শব্দ।
জীবন যুদ্ধে জয়ী না ফেরার তাগিদে।
কমল হৃদয় মিষ্টিমুখ মধুময়ের হালনাগাদে।


আজ অচিরেই এই মুহূর্তেই কলকাঠিগুলো শিকলের হাতে বন্দি।
কান্নার সূরে বাতাসগুলো ভারি বজ্রপাতেও কারাবন্দি।
দেশব্যাপী দুনিয়াময় দেশপ্রেমীও এমন কলংঙ্কে দেহবন্দি।
সংবাদ সমাচারে শিরোনামে পত্রিকার কোনাগুলোও এমন কষ্টে অশ্রুবন্দি।


১২ বছরের দিশারী দুয়ারে দীপ্তিময় চাঁদ সূর্যোদয়ের অবসান।
১২ বছরের নক্ষত্রের রক্তিম আলোর মাটির ঘর গ্রহন।
সাতক্ষীরার কোলে শায়িত সূর্যস্নানে মুক্তা মনির দেহবরণ।
বাবা মা ভাই-বোন আত্মীয় স্বজনের হৃদ রক্তক্ষরণ।


৬ মাসের দুরারোহ দুরারোগ্য ব্যাধির জালে জর্জরিত। সকাল সূর্যোদয় সন্ধ্যায় সমহারে রোগে ক্ষতবিক্ষত।
জ্বালা যন্ত্রণা হৃদয়স্পর্সী ঘটনায় ওপারে গমন।
থমকে হঠাৎ চিৎকারে আবেগে পরিবার তাকে করবে স্মরণ


শান্তিতে থাকুক স্নেহ ভরা মায়ের কোল বিছানা।
অশ্রুতে যেন না ভরে ওঠে বাবার কপালখানা।
কেটে যাক শত কষ্টদান বর্বরতার চিহ্ন।
ভেসে উঠুক সুখ উঠানে বাবা মায়ের ছায়া বিন্দু।


পিতৃবিয়োগের আবদারে শেষ কথায় পানি চেয়ে নিদারুণ ঘুমে আচ্ছন্ন মুক্তা মনি।
তখনি লুটিয়ে পরিয়াছে সোনার মত দেহখানি।
শেষ ইচ্ছায় কবর হয়েছে দাদুর কবরের পাশে।
আল্লাহ স্বপ্নে যেন দেখা পায় মা বাবা তখন যেন হাসে।


দোয়া করি,
এমন বেশে এমন সন্ধিক্ষনে আর যেন না আসে বিরল রোগের বাহানায়।
আল্লাহ সুখে রাখো  শান্তিতে রাখো,রাখো শান্তির কলিজায়।