অক্লান্ত পরিশ্রম ।হাড় ভাঙ্গা স্বপ্ন ।
অবিরাম ছুটে চলা ।পিছনে না ফিরে তাকানো ।
রৌদ বৃষ্টি ঝড় ।
সঙ্গী আমার ,তোমার ,আর খেটে খাওয়া মানুষের ।
দু বেলা ডাল ভাত ।
কখনও শুকনো রুটি আর চাউল পানি ।
বছর ।এভাবেই হয় পার ।
আসে বারে বার ।শত যন্ত্রণার পাহাড় ।


তবুও থমকে যায়নি ।থেমে দাঁড়ায়নি মোটে ।
বাহুতে পেয়েছি চোট ,আরও পাব লেখা আছে ললাটে ।
লজ্জা এখনও নেই ।তখনও থাকবে না ।
থাকবে না হিংসা বিদ্বেষ কলোহ।
আমিতো প্রেমে মজেছি ।আছি তোমারি মোহে ।


টেলিভিশন ।
আমার স্বাধীনতা ।আমার অহংকার ।
আমার মায়ের গলার হাড় ।
বাবার লাল গামছা পতাকার।
বোনের চুলের বাহাড় ।
ভাবির শাড়ির রং এর সমাহার ।
ভাইয়ের অতি চালাকি আবদার ।
দাদুর অশ্রুর সাগর ।


আমি তো দেখিনি মুক্তিযুদ্ধ।
দেখিনি মায়ের আহাজারি ।
দেখিনি বাবার বুক ফাটা আর্তনাদ ।
দেখিনি বউদির শীতিতে না থাকা সিঁদুর ।
দেখিনি বোনের হামাগুড়ি দিয়ে কান্না ।
দেখিনি তিন মাসের বাচ্চার অকাল মৃত্যু ।


টেলিভিশন ।
তুমি আমাকে ধারনা দিয়েছো ।
অনুপ্রাণিত করেছো।
করেছো ঋনী ।
হয়তো কাজে আসবে না আর এই দেহ খানি ।
তবু সদা আছি প্রস্তুত ।
আবার যদি ডাক আসে যুদ্ধের ।


টেলিভিশন ।
তোমার মাধ্যমে জানতে পেরেছি মুক্তিযুদ্ধের কল্পকথা ।
জেনেছি কীভাবে সম্মানহানি হয়ে মাতা ।
কীভাবে হয়েছে দাদুর মৃত্যু ।
কীভাবে হয়েছে জীবন ধ্বংস লীলা ।
জেনেছি ,কেন ফেরেনি বরকত ,জব্বারেরা ।
তুমি তো আমাকে ইতিহাস দেখিয়েছো ।
দেখিয়েছো বিজয়ের আলোক রশ্নি ।
যে আলোতে দেশ আজ সবুজ আকাশ এত লাল।


টেলিভিশন ।
তোমারি কারনে এখনো ২১ শে ফেব্রুয়ারির সুর শুনি ।
তোমারি কারনে শুনতে পাই রেসকোর্স ময়দানের ভাষন ।
তোমারি কারণে ২৬ শে মার্চ কালো ব্যাজ ধারনের ছবি দেখি।
তোমারি কারনে ১৬ ডিসেম্বর এক সাথে বিজয়ের পতাকা তুলি ।
তোমারি কারনে একসাথে গেয়ে উঠি জাতীয় সংগীত ।


টেলিভিশন ।
আমি তোমাকে ভুলবনা ।তোমাতেই বেঁচে থাকব ।
তোমারি কারনে প্রতিটি বছর ।
বার বার ফিরে পাই বিজয়ের আসর ।
ফিরে পাই একসাথে পথ চলার সাহস।
ফিরে পাই আমার মুক্তিযুদ্ধ, আমার স্বাধীনতা ।