এক যে ছিলেন ডাক্তার বিধান চন্দ্র সেন গুপ্ত
জগৎ জুড়ে সুনাম ছিলো প্রতিভা ছিলো সুপ্ত
রোজকার গৃহে তার রোগী  করিত ভিড়
তথাপি ও তিনি কভু না হইতেন অস্থির।


একদিন এক রোগী  আসিলেন বৈঠকখানায়
বিধানের কারণে হয় যদি মোর শেষ রক্ষায়
জীবন-মৃত্যুর বিধান তো মেহেরবান খোদা'তালা
রোগবালাই আর সংসার এই যেন ভীষণ জ্বালা।


বিধানের কথামতে,
রোগী আর বেশিদিন বাঁচিবার নয়;
পারো যদি যোগাড় করিতে গোখরো সর্পের বিষ,
তবেই মিলিবে তোমার রোগের আশিষ্।


সেই প্রাগৈতিহাসিক বড়ই নির্মম ছিলো,
দুনিয়াদারি তন্নতন্ন করে বিষ নাহি মিললো।
এইদিকে রোগী কাতর শরীরে মৃত্যুর প্রহর গুনছে,  ঘনিয়ে আসছে অস্থিরতায় সময় যায়।


বিধানের কথানুযায়ী,
মৃত্যুভয় পার হয়ে এলে...
রোগী প্রাণপণে বেঁচে যায়;
এত সুনাম বিধানের!
কী করেএই মত বিরোধীতা করে?
কারণ জানিতে উপস্থিত হয়,
অভিভাবক বিধানের বাড়িতে।


সবকিছু জিজ্ঞাসিত করিয়া,
বিধান চমকিয়া যায়!
বিধানের মতে,মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত রোগী কি কি খায়?
বিকেলের শেষ রৌদ্রেরঝাঁজ
একটু গায়ে দিতে রোগীরে বাহিরে বসায়।


সেখান হইতে রোগী দেখিতে পায়,
গাছে কাঁচকলা ঝুলিতেছে রোগীরে করে ইশারা;
রোগী ডাকিয়া কয়,
আমার মনে ধরিছে খাইতে কাঁচকলা।


অভিভাবক অস্থির হইয়া
গাছ হইতে কাঁচকলা নামিয়ে আনিয়া,
রোগীরে দিলো খাইতে,
শেষ ইচ্ছে বলে কথা,তবুও কিছু দুঃখ যেন সয়।


বিধান বুঝিয়া গেলো,
এই কাঁচকলায় নিশ্চয় গোখরো সর্পের বিষ ছিলো! বিধান বলিয়া উঠিলো,
চলো যাই সেই কলাতলায়।


দূর হইতে ডাকিয়া আনিলো ওঝা,
মাটিখুঁড়িয়া দেখিল,
সর্প দুটি জড়াইয়া আছে একে অন্যের গায়।


রোগী,অভিভাবক আর জনতায়,
বিধানের নামে চলিল হৈ চৈ।
এইতো অবাক কাণ্ড!বিধানের!!!


__________________________
প্রথম প্রকাশঃ ১০/০৪/২০১৭ ইং
ইউ,এ,ই,(দুবাই)