এক যে আছে আজব মেয়ে
পরমা তার নাম
লুকিয়ে খায় খোলামকুচি
চেহারা ছিমছাম।


উল্টোদিকে কামিজ পরে
আয়না দেখে নাচে
বুরুশ দিয়ে চুল আঁচড়ে
উকুনগুলো বাছে।


সাধবে গলা সকালবেলা
বন্ধ রেখে ঘর
শুনতে পেলে পর্ণা বলে
সখী রে গান ধর।


গ্রীষ্মকালে চাদর গায়ে
সারাটি দিন কাটে
শীতের ভোরে সিনান করে
বাতের ব্যথা গাঁটে।


আরশোলা আর ইঁদুর দেখে
এদিক-ওদিক ছোটে
আলনাতে শির ঢুকিয়ে দিয়ে
মুখটি ঢাকে কোটে।


কম্প দিয়ে জ্বর আসলে
শোবে মাদুর ঢেকে
পোষা বিড়াল দৌড়ে গিয়ে
আনে বদ্যি ডেকে।


পাড়ার লোক দেখতে পেয়ে
দৌড়ে এলো শেষে
আজগুবি সব কাণ্ড দেখে
সবাই ওঠে হেসে।