শিয়ালভায়া চতুর বড় বাঁশবাগানে বাস
সন্ধে হলে হুক্কা-হুয়া গঞ্জে বারোমাস।
গাছের ডালে খাবার মুখে খাচ্ছে পিঠে কাক
ওকে দেখে শিয়াল বলে, 'বড়ই মধুর ডাক।
তোমার ভারী মিষ্টি গলা গাওনা শুনি গান
শোনাও যদি খুশি হব রাখছি পেতে কান।'


প্রশংসাতে বেজায় খুশি গান ধরেছে যেই
মুখের খাবার পড়ল নীচে শিয়াল নাচে ধেই।
সন্ধেবেলা সাগর-চরে রোজ আসে বিড়াল
বালির ভিতর ঠান্ডা ঘরে কাঁকড়া আছে লাল।
দেখতে পেল খাবার নিয়ে শিয়াল আসে ওই
শেয়ালভায়া নাড়ল  মাথা, 'কেমনে কথা কই'।


বিড়াল বলে,'তাড়া কীসের, সামনে তো জঙ্গল
সঙ্গে তোমার ভাগ্নে যাবে ও' বড় চঞ্চল।
ঠিক তখনই কাঁকড়া এসে চিপটে ধরে পায়
মুখ থেকে মাছ পড়ল ভুঁয়ে কাতর যন্ত্রণায়।
কার কপালে কী লেখা রয় জানে তা ঈশ্বর
শিয়ালভায়া মাছ হারিয়ে দুঃখে গেল ঘর।