দাদু-দিদার স্নেহ


দিদার কাছে কাটলো ক'দিন দারুণ মজা করে
ফিরে যাবার সময় হলে আঁখিতে জল ঝরে।
দিদা-দাদুর আদর স্নেহ খুশির ঝরনাধারা
আমরা ওদের নয়নমণি আকুল পাগলপারা।


সারাটাদিন ব্যস্ত কাজে তবুও নজর রাখে
যে যা খেতে ভালোবাসে বানিয়ে দেবে তাকে।
ডাক দেবে ঠিক একটুখানি চোখের আড়াল হলে
দেখতে পেলে বলবে দিদা, 'যাসনি কেন বলে।'


ভাতের থালা বাড়িয়ে দিত মাছের মুড়ো দিয়ে
যত্ন করে খাইয়ে দিত আমায় কোলে নিয়ে।
উঠোনটুকু মাধবী আর শিউলি ফুলে ছাওয়া
সকালবেলা বইত মৃদু মিষ্টি মধুর হাওয়া।


শিউলিতলায় ফুল কুড়িয়ে কাটত আমার বেলা
মালাগাঁথা সাঙ্গ হলে এক্কাদোক্কা খেলা।
বৃষ্টি হলেই টুনটুনিরা ভীষণ খুশি হতো
পাতার জলে সিনান করে লুটত মজা কতো।


ছড়া লেখার কী আনন্দ বুঝে গেলাম আজই
নিত্য কিছু লিখে ফেলা এখন আমার কাজই।
দাদু-দিদা ছায়ার মতো আমার সহচরী
বলোনা মা ওদের এ-ঋণ কীভাবে শোধ করি।