প্রীতির টানে বন্ধু হয়ে দেখবার সাধ জাগে
তড়িঘড়ি দেয় সংকেত ফোনে দুদিন আগে।
ভালোবাসার প্লাবন বুকে শুধুই ভাষার টানে
ভ্রমর ওড়ে ফুলের বনে কারণ সেইই জানে।
বৃষ্টিবাদল মাথায় নিয়ে আসে সখার ঘরে
প্রথম দেখায় কোলাকুলি আনন্দ না-ধরে।
জয়শ্রীদি ব্যস্ত কাজে বন্ধু-আগমন
রান্নাঘরে খুন্তি হাতে রান্নাতে দেয় মন।
গরম কড়াই ফুটন্ত তেল ভাজে ইলিশ মাছ
খাবার দিয়ে প্যাঁচ ঘুরিয়ে কমিয়ে দিল আঁচ।
হাস্যরসিক মানুষ তিনি কথার প্যাঁচে জয়
রান্নাঘরে হেলান দিয়ে কতই কথা কয়।
সব কিছুতেই বিষ বউদি ভেজাল ডাকে কাল
ওসব খেয়েই অসুখবিসুখ তাই তো বাসামাল।
ভাতের থালা টেবিল পরে সবজিভরা বাটি
ধীরে ধীরে খাচ্ছে সবাই নড়ছে দুটি পাটি।
‘বেশি কথা বলছি বলে ভেবনা  পাগল
স্বভাব এমন একনাগাড়ে বলি অনর্গল।
পাগল-কথা ধৈর্য ধরে শুনতে হবে বেশি
ভাষার মধ্যে লুকিয়ে থাকে দেশি না বিদেশি।
নলেন গুড়ের মিষ্টিগুলো ভাল্লাগে আমারও
রসে ভরপুর মিষ্টিও বেশ বদ্যি বলে ছাড়ো।
কাঞ্চন আর সুকেশভায়া এলো অনেক পরে
সারাটাদিন জমিয়ে আড্ডা কাটল গল্প করে।
কবির হাতে দুখানা বই সুকেশ দিল তুলে
বন্ধু কবির মুচকি হাসি চরণ দুটি ছুঁলে।
আশিসভরা হস্তটি তাঁর বুলিয়ে দিল শিরে
কবিতা পাঠ করল শুরু রসিয়ে ধীরে ধীরে।
মিষ্টি মধুর কণ্ঠ কবির ভরল সবার মন
কোথায় ছিল গঙ্গা-পারে এত আপন জন।

(কবি সুমিত্র দত্ত রায় কে উৎসর্গ করলাম।)