না বলতে বলতে, দাঁড়িয়ে গেছে আমাদের না দেখার অভ্যেসও!
প্রতিদিনই চলছি চলমান স্রোতের তালে- দু’হাত হয়নি প্রসারিত
চোখ আছে তবুও দেখি না!
হাত আছে তবুও ছুঁই না!
নিজের জ্বালে নিজেই আবদ্ধ!মাকড়সাও আমায় দেখে বিদ্রূপ করে।
আমার বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে, একটি দেবদারু গাছ ছিল।
এ পথ দিয়ে চলতে চলতে যখন ক্লান্ত হয়ে যেতাম, এই দেবদারুর নিচে এসে শীতল হতাম।
মাস পেরুবে হয়ত;
হঠাৎ একদিন দেখলাম!
স্বর্ণলতা গুলো ঝাপটে ধরে ছিল দেবদারুটিকে!
আমি পাশ কেটে চলে আসছিলাম, না দেখার ভান করে
পরদিন থেকে দেবদারুটিকে আর দেখতে পাইনি!
দিন পনের হবে হয়ত;
আমার বাসা থেকে খানিকটা দূরে একটি মাঠ ছিল-
কত রঙ বেরঙের পাখিরা এসে মাঠে খাবার খেত,
সেদিন দেখলাম একটি বাজপাখি এসে সবগুলো পাখিকে তাড়িয়ে দিয়েছে!
সে দিনও আমি পাশ কেটে চলে আসছিলাম, না দেখার ভান করে
পরদিন থেকে আর কোন পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ শুনতে নাইনি!
অথচ! এই পাখিদের ডাক শুনতে শুনতে কখনো দিগন্তপারে অস্তগামী সূর্য দেখতাম।
আবার কখনো, ভোরে ঘড়ির অ্যালার্ম বাজার আগেই ঘুম ভেঙে ছিল পাখির কিচিরমিচির শব্দে।
আজ কি হল জানেন?
আমার বাসার পাখিটা ধরে নিয়ে গেল!
ওদের হিংস্রতায় পাখির দেহটা ছিন্নভিন্ন করে রেখে দিল!
আজ আমি ভান করে থাকতে পারিনি, আমি চিৎকার করতে চেয়েছি-
কিন্তু!
আমি দেখেও না দেখার ভান করতে করতে, আজ কিছুই দেখতে পাইনি।


মে ২১ ২০১৭