আমাদের গ্রাম নয়নাভিরাম
       এই ধরণীর পরে
প্রকৃতি যেন সাজিয়েছে তারে
      তারই আপন করে।


সুনীল গগনতলে কপোতাক্ষ নদকুলে
               আমাদের গাঁ
    দুচোখ  ভরিয়া  দেখিলেও  তারে
              সাধ  মেটে না।


  চারিদিকে  তার  সবুজ  বনানী
            ফসল ভরা মাঠ
এলোমেলো বায়ে নাচে হেলেদুলে
         ক্ষেতের সবুজ পাট।


দক্ষিণা  বায়ে  ঘন তরু  ছায়ে
       রাখাল বাজায় বাঁশি
মাঠ  ভরা  ধান দেখিয়া চাষির
      মুখেতে ধরেনা হাসি।


উত্তরে  তার  বড়  জলাধার
     শাপলা শালুক ভরা
রূপখানি তার চোখ জুড়ানো
      হৃদয় পাগল করা।



  কলমি লতা কচুরির ফুল
   ভাসে যে তাহার জলে
বোরো মৌসুমে সেই জলেতেই
     সোনার ফসল ফলে।                                            


ফাগুনের কালে বাওড়ের কূলে
        শিমুল গাছের সারি
নববধু সাজে সেজে থাকে যেন
        লজ্জায় রাঙা ভারি।


কলসি কাখেতে গাঁয়ের বধু
    নাইতে যাওয়ার কালে
বউ কথা কও ডাকেযে পাখি
     বসিয়া গাছের ডালে।


আম-কাঁঠালের বাগ বাঁগিচায়
     ভরা যে এ গাঁও খানা  
খেজুর রসের মজাদার পিঠা
     ভুলবেনা কেউ জানা।


স্বপ্নে  ঘেরা  এ  গাঁও  মাঝে
     একটি গ্রাম্য বাজার
গাছ নেই তবু স্মৃতির পাতায়
     বেলতলা নাম তার।


গাঁয়ের মানুষ দিনমণি শেষে
      এই খানেতে  এসে
মনের  কথা  যায়  জানিয়ে
    চায়ের দোকানে বসে।


হিন্দু- মুসলিম সব জাতি মোরা
       একটি সুতোয় গাঁথা
নেই ভেদাভেদ আমাদের মাঝে
     এক সকলের দেশমাতা।


ধন্য  মোরা  জন্ম  মোদের
    এমন সোনার গাঁয়ে
মরনের পরে পাই যেন ঠাঁই
     তারই স্নেহের ছায়ে।
      ---------------