তুমি-!!!
আবার কেন আসলে ?
আর কি চাও তুমি!
আর কি চাও ?
আমাকে জ্বালিয়ে পুরিয়ে
শেষ করে দিলে,
আর কি চাও তুমি
আর কি চাও ?


হাতের তালুতে ব্লেড রেখেছ কখনো?
মুঠ করলেই কেটে যাবে ।
এসিড রেখেছ কখনো?
তরল হলেও ছিদ্র হয়ে যাবে ।
জ্বলন্ত আগুন রেখেছ কখনো?
সুন্দর হলেও পুরে যাবে ।


তেমনি-
তুমার চোখের দৃষ্টি ব্লেড,
মুখের বাণী তরল- এসিড,
ঠোঁটের সুন্দর হাসি আগুন হয়ে,


আমাকে ব্লেডে খুচিয়ে-খুচিয়ে,
এসিড ছিটিয়ে-ছিটিয়ে,
আগুনে পুরিয়ে-পুরিয়ে,
করে দিলে আংরা ।
ঠিক লাকড়ির মত ।


প্রথেমে লাকড়িকে জালিয়ে পুরিয়ে
আংরাই পরিণত করা যায় ।


তারপর শুধু বাকি থাকে
আংরা,আংরা আর আংরা ।


একেও শেষ মুহুর্তে পুরানো যায়,
দেখেছ কখনো ?
দেখেছ-? কামারের দোকানে,
আংরাকে পুরিয়ে ছাই করে
মাটির সাথে মিশিয়ে
ধ্বংস করে দিতে ?


আমিও এখন হয়ে গেছি
সেই- আংরা ।


হয়ত কোন দিন বৃষ্টির জলে ভিজে-ভিজে,
ধসে-ধসে ক্ষয়ে-পরে,
শেষ হয়ে যাব, ধ্বংস হয়ে যাব,
থাকবেনা আমার কোন অস্তিত্ত ।


কিন্তু আমি এত দ্রুত ধ্বংস হতে চাইনা,
শেষ হতে চাই না ।


যত দিন বেঁচে থাকি,
তোমাকে দেখে-দেখে বেঁচে থাকতে চাই ।


ভয় পাচ্ছ কেন ?
ভয়ের কিছুই নেই,
তুমাকে দূর---থেকে দেখতে চাই ।


দয়া করে আমাকে আর জ্বালাইওনা পুরাইও না ।


তাহলে হয়ত যত দিন জলের আঘাতে,
খয়ে-খয়ে ধসে-ধসে থাকব
তাও হবেনা থাকা ।


না-না তোমার কোন দোষ-ই নেই,
সব দোষ-ই আমার-যে,
তুমাকে ভালবেসেছি ।
(কবিতা লিখেছি আ জীবনী নয়)