পালিয়ে যাব জগত থেকে,
মিলিয়ে যাব সংসার-ফাঁকে।
সুখের ধারা বইবে কবে
তাকিয়ে আছি নয়ন তুলে।
নিঝুম বন পুলকে থাকে
চাঁদের আলো আসলে বুকে।
পাখির সুখ নীড়ের কাছে
আমার সুখ একলা নাচে।
ময়ূর নাচে সুখের সাথে,
আমিই শুধু শূন্য হাতে।
কবিরা থাকে নিঝুমপুরে,
সুখের উৎস পরের ঘরে।
নতুন বর নতুন কনে
গল্প করে রজনী ক্ষণে।
স্বামীর কাছে বধূর কথা,
তাড়িয়ে দেয় দুখের গাঁথা।
ঘরের পাশে পরের পাখি
খেলছে খেলা হাসছে আঁখি।
পাশের ঘরে চড়ুই এসে
গাইছে গান নরম সুরে।
যুগল পাখি বাঁধছে বাসা
স্বপ্নশিখা জাগায় দিশা।
জানালা দিয়ে আলোক এলে
গরল বহে মনের তলে।
প্রযুক্তির অধুনা নীড়ে
পুষ্প ফুটে পুষ্প ঝরে।
বসন্তের নীরব ভোরে
কুসুমকলি জন্মে বনে।
শরৎ আসে নীলের মেঘে
পাগলপারা রূপের সাজে।
আসুক ঝড় তপ্ত ভবে,
মুছুক জরা হৃদয় হতে।
একটি চোখে একটি ধরা
চালায় শুধু সুখের ধারা।
শূন্য দ্বীপে বসিনু আমি
জাহাজখানা থাকলো ঘুমি।